অব্যাহত পতনের কারণে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার ওয়েটেড গড় পদ্ধতিতে শেয়ারের সমন্বিত দর নির্ধারন করে। যার কারণে ওইদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বড় উত্থান হয়েছে। রবিবার (২২ মার্চ) তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার ও ইউনিট দরের ফ্লোর প্রাইস (যে দরের নিচে নামতে পারবে না) গণনায় সংশোধনী এনেছে ডিএসই। যার কারণে আজ সামান্য পতনে শেষ হয়েছে ডিএসইর লেনদেন। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে রবিবার (২২ মার্চ) ওয়েটেড গড় পদ্ধতিতে শেয়ারের সমন্বিত দর নির্ধারণ করায় উত্থান হয়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৬০ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯১৭ পয়েন্টে, ১৩২১ পয়েন্টে এবং ৭৮৩ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে ১৪৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। বৃহস্পতিবার মাত্র ৩০ মিনিটে লেনদেন হয়েছিল ৪৯ কোটি টাকার।
সিএসইতে আজ সব সূচক বেড়েছে। সার্বিক সূচক ৬০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ১৯৫ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ২০৫টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৫টির। তবে কোনো কোম্পানির শেয়ার দর কমেনি।
বিএসইসির ওই নির্দেশনায় যে কোনো কোম্পানির সর্বশেষ ৫ কার্যদিবস বিবেচনায় ওয়েটেড গড় পদ্ধতিতে নির্ধারন করে। যেমন গ্রামীণফোনের ওয়েটেড গড় দর দাড়াঁয় ২৩৫ টাকা ৭০ পয়সায়। কিন্তু স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গড় দর হয় ২৩৮ টাকা ৮০ পয়সা। আর এটাই আজ সংশোধনী করেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। যে কারনে আজ সব কোম্পানির শেয়ারে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।
শেয়ারবার্তা/সাইফুল