ব্যাংকের বিনিয়োগের ঘোষণার পর বুধবার (১৮ মার্চ) বড় উত্থানে লেনদেন শুরু হলেও মাত্র ৩৪ মিনিটের মাথায় পতনে নেমেছে পুঁজিবাজার। যা ১ ঘণ্টা ৭ মিনিটের মাথায় অর্থাৎ ১১টা ৩৭ মিনিটে বড় পতনে রূপ নিয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২১ পয়েন্ট কমেছে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩০ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ৪৭ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩২টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। কমেছে ২৮৫টির আর ৩০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এ সময় পর্যন্ত টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৫৬ কোটি টাকার।
এ সময় পর্যন্ত সিএসইতে সিএএসপিআই ২৩৬ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ১৪৩ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১৩৯ পয়েন্ট, সিএসই-৫০ সূচক ১৬ পয়েন্ট এবং সিএসআই ১৬ পয়েন্ট কমেছে। এক ঘণ্টা ৭ মিনিটে সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৯টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৩৭টির আর ১৬টির দর অপরিবর্তিত থাকতে দেখা গেছে। এ সময় পর্যন্ত সিএসইতে ৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
এর আগে সকালে উত্থানে শুরু হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। শুরু মাত্র ৫ মিনিটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ১০৬ পয়েন্টে বেড়েছিল। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ১০১ পয়েন্ট বেড়েছিল। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩২ পয়েন্ট বেড়েছিল। তখন পর্যন্ত লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৩৪টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছিল। কমেছিল ৫টির আর ১২টির দর অপরিবর্তিত ছিল। ৫ মিনিটে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছিল ৩১ কোটি টাকার।
৫ মিনিটের সময় সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৭০ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১৫২ পয়েন্ট, সিএসই-৫০ সূচক ১০ পয়েন্ট এবং সিএসআই ৮ পয়েন্ট বেড়েছিল। ৫ মিনিটে সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩০টির দর বেড়েছিল, কমেছিল ৩টির আর ১টির দর অপরিবর্তিত ছিল। তখণ পর্যন্ত সিএসইতে ২৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল
গত সোমবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এবং এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এর প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের পর বিএবি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেছেন, এখন বাজারে যে প্রায় ৫০টি ব্যাংক রয়েছে, সবাই বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের ২০০ কোটি টাকার শেয়ার কিনবে। কিন্তু এগুলো একসাথে কেনা হবে না। ক্রমান্বয়ে প্রতিটি ব্যাংক ওই টাকার শেয়ার কিনবে। এ বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মনিটরিং করবে। প্রতি সপ্তাহে এ নিয়ে একটি মিটিংও করা হবে।
ওই বৈঠকে শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ব্যাংকগুলো আমাদের প্রাইমারি সোর্স। ব্যাংকাররা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, তারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকও আমাদের সাপোর্ট দিচ্ছে। পুঁজিবাজারকে ঠিক জায়গায় রাখার জন্য প্রাইভেট ব্যাংকসহ সকল সরকারি ব্যাংকগুলো যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। ওই বৈঠকের পর সোমবার উত্থান দিয়ে শুরু হয়েছিল লেনদেন।
শেয়ারবার্তা/সাইফুল