তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের খবরে বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক কমেছিল রেকর্ড ২৭৮ পয়েন্ট। তবে সেই ৩ জন এখন চিকিৎসার মাধ্যমে করোনাভাইরাস মুক্ত। একইসঙ্গে পুরো বাংলাদেশ বর্তমানে করোনাভাইরাস মুক্ত। এই সুসংবাদে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
গত রবিবার (০৮ মার্চ) বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা জানান, দেশে ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই খবর রবিবার বিকালে প্রকাশের পরেরদিন পুঁজিবাজারে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সোমবার (০৯ মার্চ) ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স রেকর্ড ২৭৯ পয়েন্ট বা ৬.৫২ শতাংশ কমে যায়। এর পরের কার্যদিবস মঙ্গলবার বাজার আবার ঘুরে দাঁড়ায়। বুধবারও ইতিবাচক প্রবণতা বজায় থাকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার আবারও বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা ফিরে আসে। ওইদিন বাজারে মিথ্যা গুজব ছড়ানো হয় যে, নতুন করে অনেক করোনাভাইরাস রোগীর দেখা মিলেছে।
আজ শনিবার (১৪ মার্চ) আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী নেই। যে ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের সবাই এখন করোনামুক্ত। যা নি:সন্দেহে পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক। এই খবর পুঁজিবাজারে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব ফেলবে-এমনটাই মতামত ব্যক্ত করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশ করোনাভাইরাস মুক্ত হওয়া পুঁজিবাজারসহ পুরো দেশের জন্য সুখবর। এটা নিসন্দেহে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটা ইতিবাচক বার্তা পৌছাবে এবং সাহস জোগাবে। ঠিক যেভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর ভীত করেছিল এবং নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছিল।
তবে বাজারের একটি অংশ মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে যথাযথভাবে বিনিয়োগে ফিরছে না। ব্যাংকগুলো যদি বাজারে সেভাবে সাপোর্ট না দেয়, তাহলে বাজার নাও ঘুরতে পারে।
এদিকে, দেশ করোনাভাইরাস মুক্ত হওয়ার খবরে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে। আগামিকাল পুঁজিবাজার ঘুরে দাড়াঁবে বলে বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেখা গেছে।
শেয়ারবার্তা / আনিস