1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
ভারতে ধস ঠেকাতে সাময়িক লেনদেন বন্ধ
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ পিএম

ভারতে ধস ঠেকাতে সাময়িক লেনদেন বন্ধ

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০২০
bombay-stock-exchange

করোনাভাইরাস আতঙ্কে শুক্রবার (১৩ মার্চ) লেনদেনের শুরুতেই বড় ধস নামে ভারতের পুঁজিবাজারে। যা সামলাতে কিছুক্ষণ পরেই পুঁজিবাজারের লেনদেন ৪৫ মিনিটের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপরেই ঘুরে দাড়ায়ঁ পুঁজিবাজার এবং দিন শেষে সূচকের উত্থান ছিল। তবে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে রেকর্ড পতন হলেও এমনটি করতে দেখা যায়নি।

ভারতের ন্যায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে করোনাভাইরাস আতঙ্ক বড় ধস হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার টানা পতনের মধ্যে রয়েছে। এরমধ্যে প্রধান পুঁজিববাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচকটি গত ৯ মার্চ রেকর্ড ২৭৯ পয়েন্ট বা ৬.৫২ শতাংশ পড়েছিল। তারপরেও আমেরিকা, পাকিস্তান বা ভারতের মতো লেনদেন বন্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এবং এ বিষয়ে ভাবাও হয়নি। এমনকি সর্বশেষ কার্যদিবস (১২ মার্চ) ১০২ পয়েন্ট বা ২.৪০ শতাংশ।

গত ৯ মার্চ ডিএসইর বড় ধসের পরে লেনদেন বন্ধ করা নিয়ে চারদিকে গুঞ্জন উঠেছিল। তবে ডিএসই লেনদেন বন্ধ করার বিষয়ে ভাবছে না বলে জানা যায়। আর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দাবি, লেনদেন বন্ধ রাখার এখতিয়ার স্টক এক্সচেঞ্জের। তাদেরকেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এ বিষয়ে কমিশন স্টক এক্সচেঞ্জকে কোন দিকনির্দেশনা দেবে না।

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সেনসেক্স ও নিফটি দুই সূচকই ‘লোয়ার সার্কিট’-এ পৌঁছে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) এবং ন্যাশনাল ফিফটি (নিফটি)। তবে সেই ৪৫ মিনিট কাটতেই ঘুরে দাঁড়ায় শেয়ার বাজার। ৩০০০ পয়েন্টেরও বেশি নেমে যাওয়া সেনসেক্স পতন শুধু ঘুরে দাড়াঁয় না, বরং বৃহস্পতিবারের চেয়ে উপরেও উঠে গিয়েছিল।

শুক্রবার সকালে ১৫০০ পয়েন্ট নীচে নেমে যায় সেনসেক্স। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই পতন ছাড়িয়ে যায় ৩০০০ পয়েন্টেরও বেশি। নিফটিও প্রায় শুরুতেই ৫০০ পয়েন্ট হারায়। যা ৯৬৬ পয়েন্ট নেমে ৮৬২৪ পয়েন্টে থেমেছিল। এই অবস্থায় ৪৫ মিনিট লেনদেন বন্ধ করা হয়। এরপরেই ঘুরে দাড়াঁয় শেয়ারবাজার।

কয়েক দিন আগে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে পুঁজিবাজারে ব্যাপক পতনের জেরে আমেরিকা ও পাকিস্তানের পুঁজিবাজারেও একইভাবে সাময়িক লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছিল। আমেরিকায় ১৫ মিনিট এবং পাকিস্তানে ৪৫ মিটি বন্ধ করা হয়েছিল শেয়ার কেনাবেচা।

এর আগে ২০০৪, ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে একইভাবে ভারতের বাজারে পতনের জেরে বন্ধ রাখতে হয়েছিল শেয়ার কেনাবেচা। এর মধ্যে ২০০৯ সালে অবশ্য উল্টো পরিস্থিতি ছিল। ওই সময় বাজার ব্যাপক হারে উপরে ওঠার জন্য় বন্ধ রাখতে হয়েছিল।

শেয়ারবার্তা/ সাইফুল

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ