পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের মোট সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অবসায়িত প্রতিষ্ঠানটির ৯৭২ কোটি টাকা সম্পদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও ৮৪০ কোটি টাকা। সুতরাং এখন পিপলসের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়াল ১ হাজার ৮১২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক এবং পিপলস লিজিংয়ের অবসায়ক আসাদুজ্জামান খান অর্থসূচককে জানান, নিরীক্ষা শেষে পিপলস লিজিংয়ের ৮৪০ কোটি টাকার সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসের শেষের দিকে নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান একনাবিন নিরীক্ষা শেষে ৫৬০ পাতার একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। সেই প্রতিবেদন বিশ্লেষণ শেষে হাইকোর্টে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই বিশ্লেষণে মোট সম্পদের পরিমাণে পরিবর্তন এসেছে।
চলতি মাসের ১০ তারিখে ২০০৪ সালের পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের পরিচালকদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট। সূত্র জানায়, সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত সকল পরিচালকের হিসাব খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে আমানত ফেরত পাওয়ার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ব্যক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিপলস লিজিং আমানতকারী সমিতির এক সদস্য জানান, সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়াতে আমরা খুশি হয়েছি। তবে আমরা চাই যে কোনভাবে ব্যক্তি পর্যায়ের আমানতকারীদের টাকা যেন দ্রুত ফেরত দেওয়া হয়। তবে পিপলস এর সম্পদের পরিমাণ যদি বৃদ্ধিই পেয়ে থাকে তাহলে তাকে আর অবসায়ন করার কোন প্রয়োজন নেই। আমরা চাই এই পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন কাউকে নিয়ে আসা হোক। এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা হোক।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানটি অবসায়নের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায় পিপলস লিজিংয়ের মোট আমানত ২ হাজার ৩৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে। বাকি ৭শ কোটি টাকা ৬ হাজার ব্যক্তি শ্রেণির আমানত। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৪৮ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের বড় অংশই নিয়েছে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা। ধারাবাহিকভাবে লোকসানের কারণে ২০১৪ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি লভ্যাংশ দিতে পারছিল না।
১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর পিপলস লিজিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে অনুমোদন পায়। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
শেয়ারবার্তা / মিলন