বিদায়ী সপ্তাহে লভ্যাংশ প্রেরণ করেছে তিন কোম্পানি। কোম্পানিনিগুলো হলো-প্রকৌশল খাতের আনোয়ার গ্যালভানাইজিং এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের যমুনা অয়েল ও পাওয়ার গ্রিড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আনোয়ার গ্যালভানাইজিং: গত ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড। ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৮৪ পয়সা। আর এ সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৬৭ পয়সা। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৩৪ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ৫৬ পয়সা।
যমুনা অয়েল : গত ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড। ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২১ টাকা ১৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৬৭ টাকা ৬১ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯২ টাকা এক পয়সা (লোকসান)।
এর আগে কোম্পানিটি ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরেও বিনিয়োগকারীদের ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই বছর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ২৫ টাকা ৪৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১৭০ টাকা ৩৪ পয়সা। আর মুনাফা হয়েছিল ২৮১ কোটি সাত লাখ ৪০ হাজার টাকা।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি: গত ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড। ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে আট টাকা ৩৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৪৩ টাকা ৭৬ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৪ টাকা ৬০ পয়সা।
শেয়ারবার্তা / আনিস