করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) কারণে চীনের অর্থনীতির প্রভাব বিশ্বের অন্যদেশগুলোতেও পড়ছে। চীনের অর্থনীতির দুর্দশার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত শীর্ষ ২০টি দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নাম। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড এর প্রতিবেদনে এমনটি উল্লেখ করা হয়েছে।
‘গ্লোবাল ট্রেড ইম্প্যাক্ট অব দ্য করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এপিডেমিক’ শিরোনামে আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের কারণে চীনের মধ্যবর্তী পণ্য রফতানি ২ শতাংশ কমলে যে ২০টি দেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বাংলাদেশ তার একটি। বিশেষ করে সাপ্লাই চেইন বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সবমিলিয়ে চীনের সাপ্লাই চেইন যদি ২ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে এই ২০টি দেশের অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হবে তার পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাকশিল্প খাত, কাঠ ও আসবাব শিল্প এবং চামড়াশিল্পে ক্ষতির আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী চীনের অর্থনীতি শ্লথ হওয়ায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে চামড়াশিল্পে। এই শিল্পে দেড় কোটি ডলার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বস্ত্র ও আসবাবপত্র শিল্পে সাপ্লাইচেইনে ১০ লাখ ডলার করে মোট ২০ লাখ ডলার ক্ষতি হতে পারে। তবে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চীনের অর্থনীতি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার উপর নির্ভর করে অন্যদেশের ক্ষতির পরিমাণ।
চীনের রফতানি কমায় সবচেয়ে বেশি ইউরোপীয় ইউনিয়নে ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইইউভুক্ত দেশগুলো যন্ত্রপাতি, গাড়ি ও রাসায়নিকের মধ্যবর্তী পণ্যের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় তাদের বড় ধরনের লোকসান হতে পারে। এছাড়া অন্য যে দেশগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে তার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, বেলারুশ, ব্রাজিল, বেলজিয়াম, কম্বোডিয়া, কানাডা, কোস্টারিকা, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইসরায়েল, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, মরোক্কো, নিউজিল্যন্ড, নরওয়ে, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সৌদিআরব, সুইজারল্যন্ড, থাইল্যন্ড, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, তিউনিশিয়া, ইউক্রেন।
শেয়ারবার্তা / মিলন