1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
রেকর্ড উচ্চতায় ডেফোডিলের শেয়ারদর
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১০ এএম

রেকর্ড উচ্চতায় ডেফোডিলের শেয়ারদর

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০২০
daffodil

ডেফোডিল কম্পিউটার্সের শেয়ারদর মঙ্গলবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে। এদিন কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ৬২ টাকা ৩০ পযসা। এটি কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, ২০০৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ডেফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেড। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ৬৪ টাকা ৩০ পয়সায় উঠে। তবে ওই দিন কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ৬০ টাকা ২০ পয়সা। আজ এর শেয়ারদর উঠে ৬৩ টাকা ১০ পয়সা। দিনশেষে দর দাঁড়ায় ৬২ টাকা ২০ টাকা। এটিই কোম্পানিটির সর্বোচ্চ ক্লোজিং দর।

ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ী, ১০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ডেফোডিল কম্পিউটার্সের শেয়ারদর ছিল ৩০ টাকা ৪০ পয়সা। গত বছর ১৪ নভেম্বর এর দর বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ টাকা ২০ পয়সায়। এক বছরের ব্যবধানে দর বৃদ্ধি পায় ১৬ টাকা ৮০ পয়সা বা ৫৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।

আজ মঙ্গলবার কোম্পানির শেয়ার সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ৬৩ টাকা ১০ পয়সা। আজ দিনশেষে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা ৩০ পয়সা। গত আড়াই মাসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১৫ টাকা ১০ পয়সা বা ৩১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত এক বছর আড়াই মাসে এর শেয়ারদর বেড়েছে ২৯ টাকা ৯০ পয়সা বা ৯৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

জানা যায়, ২০০৬ সালে ডেফোডিল কম্পিউটার্স পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। অভিষেকের দিন থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারদর ফেসভ্যালুর নিচে লেনদেন হয়। তারপর টানা তিন বছর এর দর ১০ টাকার নিচে আটকে যায়। ২০০৯ সাল থেকে কোম্পানিটির শেয়ারদর ফেসভ্যালুর উপরে লেনদেন হতে শুরু করে। এরপর কোম্পানিটিকে আর পেছনের দিকে তাকাতে হয়নি।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, তালিকাভুক্তির পর ২০০৭ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিলেও ২০০৮ সালে লভ্যাংশ ৬ শতাংশে নেমে যায় । তবে ২০০৯ সাল থেকে লভ্যাংশ ১০ শতাংশের উপরে গেলে এর শেয়ারদরও চাঙ্গা হয়। এ সময়ে এর শেয়ারদর ৩০ টাকার উপরে চলে যায়। কিন্তু ২০১১ সালে লভ্যাংশ আবার ৪ শতাংশে নেমে যায় এবং ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করে। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর আবারও ১৩ টাকা ঘরে চলে আসে।

তবে ২০১৫ সাল থেকে কোম্পানিটির লভ্যাংশ বাড়তে থাকে। পাশাপাশি এর শেয়ারদরও বাড়তে থাকে। ২০১৭ সালে কোম্পানিটি সর্বোচ্চ পরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ওই বছর ১৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। ২০১৯ সালে অর্থাৎ বিদায়ী হিসাব বছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। আগের বছর ২০১৮ সালে ছিল ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ।

আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৪৭ পয়সা, যেখানে ২০১৮ অর্থবছরে ইপিএস ছিল ২ টাকা ১৮ পয়সা এবং ২০১৭ অর্থবছরে ইপিএস ছিল ২ টাকা ১৭ পয়সা।

ডেফোডিল কম্পিউটার্সের অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৯ কোটি ৯১ লাখ ২২ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির মোট ৪ কোটি ৯৯ লাখ ১২ হাজার ২৬২টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ৬২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য ১১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি তিন দশমিক ৩৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছের্।

সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ী কোম্পানিটির বর্তমান মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৩৮ দশমিক ৯৪।

শেয়ারবার্তা / আনিস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ