1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
এক অঙ্ক সুদ ঘোষণায় নেতিবাচক ব্যাংক খাত
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম

এক অঙ্ক সুদ ঘোষণায় নেতিবাচক ব্যাংক খাত

  • আপডেট সময় : শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
Bank

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনচিত্র বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে এমন তথ্য।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬০ কোম্পানি ও সিকিউরিটিজ লেনদেনে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে সপ্তাহ শেষে শেয়ারদর বৃদ্ধি পায় ৬৬টির, কমে ২৮০টির বা ৭৮ শতাংশ, দর অপরিবর্তিত ১২টির ও লেনদেন হয়নি দুটির।

সব সূচকের সঙ্গে লেনদেন কমেছে পূর্বের সপ্তাহের তুলনায় ৩১ শতাংশের বেশি। বাজার মূলধন কমেছে ১৬ হাজার কোটি টাকার ওপরে। শেয়ার বিক্রির চাপে দরপতন হয়েছে প্রায় সব বড় মূলধনি কোম্পানির। মৌলভিত্তির ব্যাংক খাতের শেয়ারদরও কমেছে। যাকে স্বাভাবিক হিসেবে নিতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। ফলে পূর্বের সপ্তাহে যারা শেয়ার কিনেছিলেন, বাজারদর অনুযায়ী গত সপ্তাহে লোকসানে রয়েছেন প্রায় সবাই।

বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি ব্যাংক ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে কোনো ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য কোনো ঋণে এর চেয়ে বেশি সুদ নিতে পারবে না। এতে বছর শেষে ব্যাংকের মুনাফা কমে যাবে বর্তমানের চেয়ে। এ আশঙ্কা বাসা বাঁধছে বিনিয়োগকারীদের মনে। এজন্য অনেকেই শেয়ার বিক্রির জন্য তৎপর হয়ে উঠেছেন। পূর্বের সপ্তাহে যারা শেয়ার কিনেছেন, তারাও বিক্রির জন্য উৎসায়ী হয়ে উঠছেন। এতেই কমে যায় অধিকাংশ ব্যাংকের শেয়ারদর।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহ শেষে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০ ব্যাংকের মধ্যে শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল মাত্র চারটির, বৃদ্ধি পায় তিনটির। আর শেয়ারদর কমে যায় ২৩ ব্যাংকের।

সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধনের ১৬ দশমিক আট শতাংশই হচ্ছে ব্যাংক খাতের, যা সব খাতের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ খাতের বিনিয়োগকারীরা গত সপ্তাহে লোকসান গুনেছে সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ। বড় এ মূলধনি খাতটির শেয়ারদর পতনের ধাক্কা অন্যান্য খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতেই কমে যায় প্রায় সব খাতের শেয়ারদর।

খাতভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরা সর্বোচ্চ লোকসান দেখেছেন পাট খাতে ১২ দশমিক চার শতাংশ। এরপরই আট দশমিক চার শতাংশ সিরামিক খাতে, সাত দশমিক সাত শতাংশ খাদ্যে, সাত দশমিক এক শতাংশ টেলিকমে, পাঁচ দশমিক ৯ শতাংশ সিমেন্টে, পাঁচ দশমিক সাত শতাংশ জীবন বিমা ও পেপারে, পাঁচ শতাংশ সাধারণ বিমায়, চার দশমিক আট শতাংশ জ্বালানিতে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে চার দশমিক সাত শতাংশ, প্রকৌশল খাতে চার দশমিক চার শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ডে চার দশমিক দুই শতাংশ, বস্ত্র খাতে তিন দশমিক ছয় শতাংশ লোকসান দেখতে পান বিনিয়োগকারীরা।

খাতভিত্তিক লেনদেনে দেখা যায়, ডিএসইর মোট লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ওষুধ খাত। মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ অবদান রেখেছে খাতটি। এরপরই রয়েছে বস্ত্র, প্রকৌশল, জ্বালানি, ব্যাংক ও খাদ্য খাত।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সূচক হারিয়েছে পূর্বের চেয়ে ২৫২ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা পাঁচ দশমিক ৩৪ শতাংশ। একই সঙ্গে কমেছে ডিএস৩০ ও শরিয়াহ্ সূচক। বাজার মূলধন কমেছে ১৬ হাজার ২৭৯ কোটি টাকা।

একক হিসেবে গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ লেনদেনকারী কোম্পানি হচ্ছে গ্রামীণফোন। অপরদিকে একক হিসেবে সর্বোচ্চ গেইনারের তালিকার শীর্ষ ১০টির প্রথম অবস্থানে উঠে এসেছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর বৃদ্ধি পায় ৩৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এরপরই রয়েছে ভিএফএস থ্রেড ডায়িং, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস, বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিকস, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস, নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল, অলিম্পিক এক্সেসরিজ ও ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড।

অপরদিকে একক হিসেবে লোকসানের শীর্ষে রয়েছে প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির

শেয়ারদর হারায় ২৫ দশমিক ১০ শতাংশ। এছাড়া শেয়ারদর হারায় সায়হাম টেক্সটাইল মিলস, ব্র্যাক ব্যাংক, নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, বিএসআরএম স্টিলস, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, আরএকে সিরামিকস ও ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালান্সড ফান্ড।

শেয়ারবার্তা/ সাইফুল

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ