পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক ১২টি কোম্পানির মধ্যে গত এক মাসে সাত কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। বেড়েছে বাকি পাঁচ কোম্পানির। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানি (বিএটিবিসি) বাংলাদেশ লিমিটেডের। আর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশ লিমিটেডের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ এক মাসের শেয়ারদর ওঠানামার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ বা ৯৮ টাকা ৭০ পয়সা কমেছে তামাক খাতের বহুজাতিক কোম্পানি বিএটিবিসির শেয়ারদর। গত ২৯ জানুয়ারি কোম্পানিটির দর ছিল ১ হাজার ৮৫ টাকা ১০ পয়সা, যা বৃহস্পতিবার সর্বশেষ কার্যদিবসে কমে দাঁড়ায় ৯৮৬ টাকা ৪০ পয়সা। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী লভ্যাংশ ঘোষণা না করার কারণে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমছে বলে বাজার সংশিষ্টরা মনে করছেন।
শেয়ারদর কমায় এর পরই রয়েছে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। ২৯ জানুয়ারি কোম্পানিটির দর ছিল ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা, যা বৃহস্পতিবার কমে দাঁড়ায় ৪৪ টাকা ১০ পয়সায়। এ হিসাবে এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ বা ৩ টাকা ৪০ পয়সা। তবে আগের মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছিল বলে এখন দর সংশোধন হচ্ছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড। ২৯ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১ হাজার ৬৮৩ টাকা ১০ পয়সা, যা বৃহস্পতিবার কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৩০ টাকা ৮০ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির দর কমেছে ৩ দশমিক ১১ শতাংশ বা ৫২ টাকা ৩০ পয়সা।
দেশের প্রকৌশল খাতের শীর্ষ কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারদর ২৯ জানুয়ারি ছিল ১৭১ টাকা ৭০ পয়সা, যা বৃহস্পতিবার কমে দাঁড়ায় ১৬৬ টাকা ৮০ পয়সায়। সে হিসাবে এক মাসে কোম্পানিটির দর কমেছে ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ৪ টাকা ৯০ পয়সা।
দেশের শীর্ষ পাদুকা কোম্পানি বাটা সুর শেয়ারদর ২৯ জানুয়ারি ছিল ৭৭৪ টাকা ৯০ পয়সা, যা বৃহস্পতিবার কমে দাঁড়ায় ৭৬০ টাকা ৯০ পয়সায়। এক মাসে কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ বা ১৪ টাকা।
সিরামিক খাতের কোম্পানি আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের শেয়ারের সমাপনী দর ২৯ জানুয়ারি ছিল ২৯ টাকা ৮০ পয়সা, যা বৃহস্পতিবার কমে দাঁড়ায় ২৯ টাকা ৪০ পয়সায়। এ হিসাবে এক মাসে কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ বা ৪০ পয়সা।
দর কমায় সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে দেশের শীর্ষ রঙ উৎপাদনকারী কোম্পানি বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড। ২৯ জানুয়ারি কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ১ হাজার ৪১২ টাকা ৯০ পয়সা, যা বৃহস্পতিবার কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৪০৬ টাকা ৫০ পয়সায়। এক মাসে কোম্পানিটির দর কমেছে দশমিক ৪৫ শতাংশ বা ৬ টাকা ৪০ পয়সা।
এদিকে, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে এক মাসে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর বেড়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি জিএসকে বাংলাদেশের। এক মাস ধরে টানা বেড়ে চলেছে এ কোম্পানির শেয়ারের দর। ২৯ জানুয়ারি শেয়ারটির দর ছিল ১ হাজার ৭১৭ টাকা ৩০ পয়সা, যা বৃহস্পতিবার বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৯০৭ টাকা ৪০ পয়সায়। এ হিসাবে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বা ১৯০ টাকা ১০ পয়সা।
দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বর্তমান সময়ে দেশের সবচেয়ে আলোচিত টেলিযোগাযোগ কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের শেয়ার। ২৯ জানুয়ারি শেয়ারটির দর ছিল ২৬১ টাকা ১০ পয়সা, যা বৃহস্পতিবার বেড়ে দাঁড়ায় ২৭৪ টাকা ৪০ পয়সায়। দর বেড়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বা ১৩ টাকা ৩০ পয়সা।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড। ২৯ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১৫৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা বৃহস্পতিবার ১৬০ টাকা ৩০ পয়সায় উঠে যায়। এ হিসেবে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ বা ৫ টাকা ৬০ পয়সা।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি রেকিট বেনকিজার (বিডি) লিমিটেড রয়েছে চার নম্বর অবস্থানে। ২৯ জানুয়ারি এ কোম্পানির শেয়ারের দর ছিল ৩ হাজার ৫৬ টাকা ৫০ পয়সা, যা বৃহস্পতিবার বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৪০ টাকা ৫০ পয়সায়। এক মাসে দর বেড়েছে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ৮৪ টাকা।
দর বৃদ্ধিতে সর্বশেষ রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড। ২৯ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১ হাজার ২৮৬ টাকা ৭০ পয়সা, যা বৃহস্পতিবার বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩০০ টাকা ৪০ পয়সায়। এ হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ বা ১৩ টাকা ৭০ পয়সা।