রাজধানীর নিকুঞ্জে নবনির্মিত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভবন উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সময় প্রার্থনা করে চিঠি দেয়া হয়েছে। ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো: শফিুর রহমান পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
নবনির্মিত এই ভবনে অনানুষ্ঠানিকভাবে সীমিত আকারে কার্যক্রম শুরু করেছে ডিএসই। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোনের পর এর কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কতৃর্ক ভবনটি উদ্বোধনের মাধ্যমে ডিএসইর নতুন পথ চলায় অনুপ্রাণিত করবে এবং বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে একটি নতুন দিগন্ত উম্মোচন ঘটবে।
শেয়ারবাবাজারের সুদূরপ্রসারী উন্নয়নকল্পে এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডকে আন্তর্জাতিক মানের স্টক এক্সচেঞ্জ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে ঢাকার নিকুঞ্জে স্বল্পতম মূল্যে ৪ বিঘা জমি বরাদ্দ দিয়েছেন। ১৯৯৮ সালে শেয়ারবাজারে অটোমেশন পদ্ধতি চালুর জন্য সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে ডিএসই একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী নতুন প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে সম্ভাবনার নতুন যুগে প্রবেশ করার সুযোগ লাভ করেছে। শেয়ারবাজার আধুনিকায়নে ১৯৯৮ সালে স্বয়ংক্রিয় লেনদেন পদ্ধতি চালুকরণে সহজ অর্থায়নের মাধ্যমে সরকারের সহযোগিতায় ডিএসই আজকের এই পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। সরকারের এই সহযোগিতা ডিএসই কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছে।
সরকারের বদান্যতায় আন্তর্জাতিকমানের স্টক এক্সচেঞ্জ হিসেবে ডিএসই নিজস্ব ভবনে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে নিকুঞ্জে অবস্থিত উক্ত জমিতে ডিএসইর নিজস্ব অর্থায়নে একটি অত্যাধুনিক ১৩ তলা অফিস ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। এরই প্রেক্ষিতে দেশের প্রধান এবং ঐতিহ্যবাহী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অনানুষ্ঠানিকভাবে উক্ত ভবনে সীমিত আকারে কার্যক্রম শুরু করেছে।
দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে পরিচিত শেয়ারবাজারের সার্বিক অগ্রগতি ও সামগ্রিক উন্নয়নে সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের স্বার্থ রক্ষায় অভূতপুর্ব ভূমিকা রেখেছে। তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। দেশের শেয়ারবাজারকে নিয়ে সরকারের দূরদর্শী নীতি সংস্কারের কারণেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড আজ একটি আর্ন্তজাতিকমানের শেয়ারবাজার হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
শেয়ারবার্তা / আনিস