মেয়েদের হোস্টেলে পিরিয়ড হয়েছে কি না তা জানতে প্রায় নগ্ন করা হয়েছিল ছাত্রীদের। সেই নিয়ে তোলপাড় হয়েছে দেশজুড়ে। তার পর এক সপ্তাহও কাটতে পারল না। এ বারের ঘটনা ভারতের সুরাটের। সেখানকার পুরনিগমের মহিলা ট্রেইনি ক্লার্কদের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালে লাইন দিয়ে নগ্ন করে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। মহিলা ডাক্তাররা ব্যক্তিগত প্রশ্নে জর্জরিত করলেন তাদের।
কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে কর্মচারীদের সংগঠন। তাদের অভিযোগ, শতাধিক মহিলা কর্মীকে বাধ্যতামূলক ফিটনেস টেস্টের জন্য সুরাট মিউনিসিপ্যাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে গিয়ে অত্যন্ত অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়। একজনের থেকে সে কথা জানতে পেরে এক শীর্ষ কর্মী বলেন, ‘মহিলা কর্মীদের জোর করে একসঙ্গে নগ্ন করে দাঁড় করানো হয়। একটি ঘরে ১০জন করে ছিলেন। যেখানে তাদের গোপনীয়তা বলে কিছু ছিল না। দরজাটাও ঠিকমতো বন্ধ ছিল না। বাইরের লোক যাতে ভেতরের দৃশ্য দেখতে না-পারে সে জন্য শুধু একটি পর্দা টাঙানো ছিল।
এখানেই শেষ নয়, কর্মীদের বিতর্কিত ফিংগার টেস্ট দিতে হয় বলেও অভিযোগ। অবিবাহিত মহিলাদের থেকে জানতে চাওয়া হয়, তারা কোনও সময় গর্ভবতী হয়েছেন কি না। যে মহিলা ডাক্তাররা গায়নোলজিক্যাল টেস্ট নিচ্ছিলেন, তাদের কয়েকজন অত্যন্ত রূঢ় ব্যবহার করেন বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন।
পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণ ফিটনেস টেস্ট হয়েছে। যেখানে চোখ, ENT, হার্ট ও ফুসফুসের পরীক্ষা-সহ সার্বিক পরীক্ষা হয়। তিন বছর প্রবেশন পূর্ণ করার পর কনফারমেশন পেতে এই মেডিকেল টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক। কর্মচারীদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এএ শেখ বলেছেন, ‘এই অভিযোগ শোনার পর অবিলম্বে এমন অমাবলিক পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। কোথাও মহিলা কর্মীদের এমন মেডিকেল টেস্ট দিতে হয় বলে শুনিনি।’ফিংগার টেস্টেও ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন সবাই।
শেয়ারবার্তা /