পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল টি’র মুনাফা চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৯) ৭৬ শতাংশ কমে গেছে। চায়ের বিক্রয়ের পরিমাণ বাড়লেও দর কমে যাওয়ায় মুনাফায় এমনটি হয়েছে। কোম্পানির চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আর্থিক হিসাব অনুযায়ী, ন্যাশনাল টি’র আগের বছরের একইসময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের নিলামে ৪ লাখ ৮৮ হাজার কেজি বেশি চা বিক্রি হয়েছে। এছাড়া লোকাল মার্কেটে ৮৪ হাজার কেজি বেশি চা বিক্রি হয়েছে। তারপরেও আগের বছরের থেকে বিক্রয় মূল্য কমে এসেছে। এর কারণ হিসাবে রয়েছে নিলামে কেজিপ্রতি চায়ের দাম ১১৬.৭৪ টাকা এবং লোকাল মার্কেটে ৩৫.০৩ টাকা কমে আসা।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির ৬২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার চা বিক্রয় হয়েছে। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৮৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে মূল্য হিসাবে বিক্রয় কমেছে ২৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বা ৩০ শতাংশ।
আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে বিক্রয়ের জন্য উৎপাদন ব্যয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। যা ছিল বিক্রয়ের ৬৩ শতাংশ। যাতে মোট মুনাফা হয়েছিল ৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আর এ বছরের প্রথমার্ধে বিক্রয়ের বিপরীতে ৬৯ শতাংশ হারে উৎপাদন ব্যয় হয়েছে ৪২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। যাতে মোট মুনাফা হয়েছে ১৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে মোট মুনাফা কমেছে ১৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বা ৪১ শতাংশ।
এদিকে কোম্পানিটির বিক্রয়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিচালন ব্যয় কমেছে। তবে সুদজনিত ব্যয় দ্বিগুণ হয়েছে। কোম্পানিটির আগের বছরের প্রথমার্ধের ১৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার পরিচালন ব্যয় এ বছরে কমে হয়েছে ১১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আর ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সুদজনিত ব্যয় এ বছর বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির প্রথমার্ধে বিক্রয় থেকে উৎপাদন ব্যয়, পরিচালন ব্যয়, সুদজনিত ব্যয় ও কর সঞ্চিতি বিনিয়োগ এবং অন্যান্য আয় যোগ শেষে নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৬.৬২ টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা হয়েছিল ১৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ২৭.৫৫ টাকা। এ হিসাবে মুনাফা কমেছে ১৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা বা ৭৬ শতাংশ।
শেয়ারবার্তা / আনিস