পুঁজিবাজারে চলমান সংকটে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উপর আগেই আস্থা হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এরপর সরকারিভাবে নানামুখী পদক্ষেপের পরেও বাজারে একই চিত্র দেখা গিয়েছে৷ চলতি বছরকে পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক আশ্বস্ত করার পর দেখা গেছে, জানুয়ারি থেকে আজ ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট কার্যদিবসের অর্ধেকের বেশিই পতনের মুখে পড়েছে বাজার। এদিকে রাষ্ট্রীয় ৪ ব্যাংককে পুঁজিবাজারে আনতে অর্থমন্ত্রীর গতকালকের বৈঠকের পর আজ বাজারে ফের পতন হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিনিয়োগকারী বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে রীতিমত খেলা শুরু হয়েছে। বাজারকে স্বাভাবিক করার নামে যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তার কোনটাই কাজে দিচ্ছে না। আসল কথা হচ্ছে বাজার সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন যেসব কর্মকর্তা রয়েছেন তাদের সবাই দুর্নীতিগ্রস্থ। এটা এখন বিনিয়োগকারীদের কাছে পরিষ্কার। তাই এসব পদক্ষেপের নামে বাজার থেকে ভিন্ন উপায়ে অর্থ লুটপাট হবে কিনা সে শঙ্কায় রয়েছেন বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী।
আরেক বিনিয়োগকারী বলেন, অব্যাহত দরপতনে দেশি বা স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা আস্থাহীনতায় ভুগছেন। ছোট-বড় সব বিনিয়োকারী বুঝে উঠতে পারছেন না বাজার কোথায় গিয়ে শেষ হবে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সবাই। এই অবস্থায় যে করেই হোক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসি, ডিএসই সবাইকে মিলে এ কাজটি দ্রুত করতে হবে।
মতিঝিলে একাধিক সিকিউরিটিজ হাউজ ঘুরে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর বিও খোলার প্রবণতা কমেছে উল্লেখযোগ্যহারে। নতুন করে হিসাব না খোলায় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়ছে না। অন্যদিকে যেসব বিনিয়োগকারীদের পোর্টফলিওর ইক্যুইটি মাইনাসে চলে এসেছে তারা লেনদেন করতে পারছে না। এমন অবস্থায় কমিশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সিকিউরিটিজ হাউজগুলো। ফলে বড় বড় হাউজগুলোতেও লোকসান গুনতে হচ্ছে। সিকিউরিটিজ হাউজের এরুপ আয় কমে যাওয়ায় এখন চাকরি হারানোর শঙ্কায় ভুগছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল