জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতের আরও পাঁচটি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত তিন ব্যাংক সোনালী, জনতা এবং অগ্রণী ব্যাংকের শেয়ার ছাড়তেও আগ্রহী হয়ে উঠেছে সরকার। যদিও বিপুল পরিমাণ খেলাপী ঋণের ভারে ব্যাংকগুলোর অবস্থা বেশ নাজুক। তাই পুঁজিবাজারে সংশ্লিষ্ট রেগুলেটর ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে ব্যাংকগুলোর তালিকাভুক্তির সম্ভাব্যতা পর্যালোচনা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী রোববার অর্থমন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানার একমাত্র তালিকাভুক্ত ব্যাংক রূপালী ব্যাংকের আরও ১০ শতাংশ শেয়ার অফলোড করার সিদ্ধা্ত চুড়ান্ত করেছে সরকার। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের সম্ভাব্য তালিকাভুক্তির বিষয়টি নিয়ে রোববার অনুষ্ঠেয় বৈঠকে খোদ অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল সভাপতিত্ব করবেন। বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসই) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন অংশ নেবেন।
তবে শেষ পর্যন্ত আলোচিত ব্যাংক তিনটি পুঁজিবাজারে আসতে পারবে কি-না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কারণ ব্যাংক তিনটির একটিরও স্বাস্থ্য ভাল নয়। তিনটিই মূলত লোকসানী ব্যাংক। সাধারণত লোকসানী ব্যাংককে পুঁজিবাজারে আসার অনুমতি দেয় না বিএসইসি। আইন অনুসারে, বাজারে আসতে হলে সর্বশেষ দুই বছর মুনাফায় থাকতে হয়। যদিও বিএসইসি চাইলে কোনো কোম্পানিকে এই শর্ত থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। অবশ্য সে সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ এটি করলে তা বাজারের জন্য একটি বাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
তবে আলোচিত তিন কোম্পানির শেয়ার ছাড়া কঠিন হলেও রূপালী ব্যাংকের বাড়তি শেয়ার অফলোডে কোনো সমস্যা হবার আশংকা নেই। ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এই ব্যাংকের ৪১৬ কোটি টাকা। ব্যাংকটির ৯০ ভাগ শেয়ারই সরকারের হাতে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রূপালী ব্যাংকের শেয়ারের সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৩০ টাকা দরে।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল ইসলাম