সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য গ্রামীণফোন ৪০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর আগে কোম্পানিটি ৯০ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সবমিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পাবেন।
অন্যদিকে, গত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি ২৮০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ছিল ১৫৫ শতাংশ চূড়ান্ত এবং ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরে গ্রামীণফোনের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৫ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের ২০১৮ হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ২৪ টাকা ৭৪ পয়সা। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৩.৪৩ শতাংশ। কিন্তু আয় বাড়লেও কোম্পানিটির লভ্যাংশ কমে গেছে ৫৩.৫৭ শতাংশ। অর্থাৎ আয় বাড়লেও লভ্যাংশ নেমে গেছে অর্ধেকেরও নিচে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত দু’বছরে গ্রামীণফোনের শেয়ারদর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পাঁচশ’ টাকা থেকে অর্ধেকের বেশি ২৩০ টাকায় নেমে যায়। সোমবার এর সর্বশেষ দর দাঁড়ায় ২৭১ টাকা ৪০ পয়সা। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির ১২ হাজার কোটি টাকা অডিট আপত্তি নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত চাপে রয়েছে কোম্পানিটি। এ নিয়ে দেন-দরবার শেষে আইনি লড়াইও অব্যাহত রেখেছে কোম্পানিটি।
সর্বশেষ বিপুল অডিট আপত্তির দাবির বিষয়ে আলোচনার জন্য উচ্চ আদালতের দুই হাজার কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশনার বিরুদ্ধে রিভিউ চেয়েছে গ্রামীণফোন। এতে ১২ কিস্তিতে ৫৭৫ কোটি টাকা দেয়ার আবেদন করেছে কোম্পানিটি। তবে এ আবেদনে এখনো সম্মতি মিলেনি।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কোম্পানিটিতে যেহেতু প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশিকে কর্ণধার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে, সেহেতু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা ক্রমশ সমাধানের পথেই এগুবে।
শেয়ারবার্তা / হামিদ