পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তারল্য যোগান বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। একই সঙ্গে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি বাজারে আনার পরামর্শ দিয়েছে। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- তারল্য বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
ইনেভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) বোর্ড রুমে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের গঠিত সমন্বয় ও তদারকি কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকের এই তথ্য জানিয়েছেন বিএমবিএর সভাপতি ছায়েদুর রহমান।
পুঁজিবাজারে দ্রুত তারল্য যোগান দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দেয়ার প্রস্তাব করা হয়।
সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর’র সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মাসুদ বিশ্বাস, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং বিএমবিএ’র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, প্রথম সহ-সভাপতি ও দ্বিতীয় সহ-সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে সমন্বয় কমিটি, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি ও আইসিবি’র পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়া হয়নি।
ছায়েদুর রহমান বলেন, বৈঠকে বর্তমান অবস্থা ও ভবিষৎ উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় আমাদের প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেছি। সরকার পুঁজিবাজারে সমস্যা সমাধানে আন্তরিক। এরই মধ্যে বেশি কিছু পদক্ষেপ নিছে। ভবিষতে আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে বর্তমান সংকট দূর করতে তারল্য সরবরাহ বাড়ানোর বিষয়ে কথা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারল্য বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকেও তারল্য যোগান দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
তিনি তারল্য বাড়ানোর পাশাপাশি আইপিও অনুমোদন অনেক কম হচ্ছে। এটি বাড়াতে হবে। আইপিও’র প্রাইস ও মান দু’টোর দিকে খেয়াল রাখা হবে। ভালো মানের আইপিও আনা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে উন্নয়নে আইপিও অনুমোদন কখনো বন্ধ করা উচিৎ নয়। বরং যাচাই বাছাই করে ভালো কোম্পানিকে আইপিও’র অনুমোদন দেয়া উচিৎ। ভালো কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনতে কর রেয়াত সুবিধা ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫-২০ শতাংশ রাখা এবং দ্বৈত কর প্রত্যাহারে প্রস্তাব দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন বিএমবিএ সভাপতি।
এক প্রশ্ন জবাবে ছায়েদুর বলেন, তারল্য বা ফান্ডের পরিমাণ নিয়ে কথা হয়নি। আমরা বলেছি তারল্যের যোগান বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য আমরা একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু যারা বাস্তবায়ন করবেন- তারা তো তাদের প্রচলিত নিয়মকানুন যাচাই-বাছাই করে পদক্ষেপ নিবেন। এখানে আমাদের শব্দ এবং ওনার শব্দের মধ্যে পার্থক্য খুঁজলে তো হবে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভিউ, আর আমাদের ভিউ কিন্তু পুরোপুরি একরকম হবে না।
সমন্বয় কমিটি কতদিনে তাদের চূড়ান্ত প্রস্তাবনা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে জমা দিবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছায়েদুর রহমান বলেন, সেটি কমিটির সদস্যরা ভালো বলতে পারবে। এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না। কমিটি সবার সঙ্গে বসবে। এরপর সবার সুপারিশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে দেবে।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল