নানা রকম উদ্যোগের পরেও দেশে খেলাপী ঋণের পরিমাণ কমছে না। বলা যায়, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা ফিরিয়ে দেয়ার ইচ্ছেও নেই অধিকাংশ ঋণ খেলাপীর। এক্ষেত্রে ভুয়া ঋণ ও জামানত সংরক্ষণে ব্যাংকগুলোর ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে বলে চিহ্নিত করেন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি এ দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে কঠোর অবস্থান দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ভুয়া ঋণ বন্ধে জামানত সংরক্ষণের ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি দেশের সবক’টি তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সাথে একটি বৈঠকে এ বিষয়ে জানতে চান গভর্নর ফজলে কবির। সেখানে জামানত সংরক্ষণে শক্তিশালী তথ্যভাণ্ডার তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। এ টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যর্থতা হিসেবে জামানত সংরক্ষণে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা ভালো নয়। তাই নতুন ঋণ ও জামানতের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সেখান থেকে ব্যাংকগুলোর আমানত একসঙ্গে উঠিয়ে না নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জামানত তথ্যভাণ্ডারের বিষয়ে ২০১৬ সালে গুরুত্ব দেয়া শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে এর প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোলাটেরেল ডাটাবেজের তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার প্রাপ্তি সাপেক্ষে সেটি উন্নয়নকৃত সফটওয়্যার সিস্টেমে ডিপ্লয় করার মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে সিস্টেমটির পারফরম্যান্স টেস্টিং সম্পন্ন করা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক সূত্র জানায়, এই তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা সম্ভব হলে ভুয়া দলিল বানিয়ে একই জমি দেখিয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে না। কারণ এই তথ্যভাণ্ডারের অ্যাকসেস সব ব্যাংকের কাছেই থাকবে।
শেয়ারবার্তা / আনিস