দেশের শেয়ারবাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বাদে ১৯ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্য ৩৮৪টি। এরমধ্যে ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার রয়েছে বর্তমানে ৮৫টি। এটি শেয়ারবাজারে এযাবতকালের মধ্যে রেকর্ড সর্বোচ্চ কোম্পানি। এর আগে এতো কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে দেখা যায়নি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও স্টকনাও সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিদায়ী সপ্তাহে তিন দফায় ৩১টি কোম্পানির শেয়ারকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনটি কোম্পানির শেয়ারকে ফের আগের ক্যাটাগরিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে ছিল। বিদায়ী সপ্তাহে ২৮টি কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে যোগ হয়েছে। যার ফলে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান নেওয়া কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫টিতে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে আনুপাতিকহারে আর্থিক খাতের কোম্পানির সংখ্যা বেশি। আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারই ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থান নিয়েছে।
অন্যদিকে, ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাত ও ব্যাংক খাতের কোম্পানির সংখ্যা আনুপাতিক হারে কম। জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতের ৪৩টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১টি কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে। সেটি হল ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স। গত সপ্তাহে ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করার পরের দিন ফের আগের ক্যাটাগরিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩টি কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে। যেগুলো হলো-ফারইস্ট লাইফ, পদ্মা লাইফ ও প্রগ্রেসিভ লাইফ।
অন্যদিকে, ব্যাংক খাতের ৩৬টি কোম্পানির মধ্যে দুটি কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে। কোম্পানি দুটি হলো-আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক। ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার গত সপ্তাহে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে যুক্ত হয়েছে।
এদিকে, টেলিযোগাযোগ খাতের কোন কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেই। এখাতের ৩টি কোম্পানির শেয়ারই ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। যেগুলো হলো-বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটা।
তবে, পাট খাতের ৩টি কোম্পানির মধ্যে ৩টির শেয়ারই ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানিগুলো হলো-জুট স্পিনার্স, নর্দার্ন জুট ও সোনালী আঁশ। সোনালী আঁশের শেয়ার গত সপ্তাহে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে কোন ফান্ডের ইউনিট ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেই। যদিও এখাতে ডিভিডেন্ড না দেওয়া একাধিক ফান্ড রয়েছে।