আপেল কিংবা লিচু খেতে গিয়ে ভুলবশত এর বীজ খেয়ে ফেলার ঘটনা হয়তো অনেকের সঙ্গেই ঘটেছে। তবে কিছু কিছু ফল আছে যেগুলোর বীজ গিলে ফেললে কোনো সমস্যা হয় না, তবে এমন কিছু ফল আছে যেগুলো বীজ শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
জানলে অবাক হবেন, লিচুর বীজ খুবই ক্ষতিকর হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য। হেলথশটের তথ্য অনুসারে, লিচুর বীজে প্রাকৃতিক বিষাক্ত পদার্থ আছে, যা মানবদেহের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
শুধু তাই নয়, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, লিচুর বীজে একটি নির্দিষ্ট ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড আছে, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। এমনকি মস্তিষ্কের প্রদাহেরও কারণ হতে পারে।
শুধু লিচুর বীজ নয়, এমন আরও কিছু ফলের বীজ আছে, যা বিষাক্ত। এগুলো ভুল করে খেয়েও ফেললেও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন ফলের বীজ ক্ষতিকর-
আপেলের বীজ
প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তারদের দূরে রাখে, এ কথা সবারই জানা। পুষ্টির পাওয়ার হাউজ হলো আপেল। নিয়মিত আপেল খাওয়া স্বাস্থ্যকর হলেও এর বীজ গিলে ফেললে বা ইচ্ছে করে চিবিয়ে খেলে বিপদ হতে পারে।
এই বীজ বিষাক্ত হওয়ার কারণ হলো এতে অ্যামিগডালিন নামক একটি যৌগ থাকে। আপনি যখন আপেলের বীজ চিবিয়ে খান, তখন যৌগটি হাইড্রোজেন সায়ানাইড নিঃসৃত করে, যা মৃত্যুও ঘটাতে পারে।
তবে এটি তখনই ঘটে যখন আপনি প্রতি কিলোগ্রাম হাইড্রোজেন সায়ানাইড প্রায় ১.৫২ মিলিগ্রাম গ্রহণ করেন।
টমেটো খেতে কার না ভালো লাগে? তবে জানলে অবাক হবেন, টমেটোর ছোট বীজ মারাত্মক স্বাস্থ্যগত প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষণায় বলা হয়েছে, টমেটোর বীজ খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে।
টমেটোর বীজে অক্সালেটের উপস্থিতির কারণে এটি ঘটে, যা কিডনিতে পাথর গঠনে সহায়তা করে। তাই অতিরিক্ত টমেটো খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
কাঁচা কিডনি বিনস
কাঁচা কিডনি মটরশুটিতে ফাইটোহেম্যাগ্লুটিনিন নামক রাসায়নিকের উচ্চ ঘনত্ব আছে, যা লোহিত রক্তকণিকাগুলোকে একত্রিত করে। তাই কম কাঁচা কিডনি বিন খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।
আরও কিছু ফল আছে, যার বীজ অত্যন্ত বিষাক্ত। যেমন- এপ্রিকট, বরই, চেরি ও পীচ। এসব ফলের বীজে সায়ানোজেনিক যৌগ থাকে, যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
সূত্র: হেলথশটস