প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে চায় প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি। সম্প্রতি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইপিওর মাধ্যমে ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি বাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। আর সংগ্রহ করা অর্থ দিয়ে অটোক্লেভ প্যানেলস, কনক্রিট ব্লক, ইট ও টাইলস উৎপাদনের একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করবে কোম্পানিটি।
কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ, ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি হচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক পরিবারের একটি কোম্পানি। পুঁজিবাজারে এলে এটি হবে এই গ্রুপের দ্বিতীয় কোম্পানি। গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানিটি মূলত সমুদ্রবন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত সেবা দিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ-দুবাই রুটে জাহাজ পরিচালনার ব্যবসায়ও যুক্ত হয়েছে কোম্পানিটি।
ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি মূলত একটি ইপিসি (Engineering, Procurement and Construction) কোম্পানি। এই কোম্পানি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুসারে, তাদের জন্য অবকাঠামোর ডিজাইন, পণ্য ক্রয়, অবকাঠামো তৈরি ও সংস্থাপন করে থাকে। এর পাশাপাশি ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি নিরাপত্তা ও আইটি সংশ্লিষ্ট ইক্যুইপমেন্ট, ড্রেজার, ক্রেন,ভারি মেশিনারিজ সরবরাহ ও সংস্থাপন সংক্রান্ত সেবা দিয়ে থাকে। কোম্পানিটির ব্যবসার পরিধির মধ্যে আরও রয়েছে নদী খনন, ভূমি উন্নয়ন, বহুতল ভবন নির্মাণ; সড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার ইত্যাদি নির্মাণ।
ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি বেশ কয়েকটি বিদেশী কোম্পানির সাথে ঘনিষ্টভাবে কাজ করে। এর মধ্যে কয়েকটি কোম্পানির পণ্য ও সেবার পরিবেশক তারা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রের এস্ট্রোফিজিকস, স্ক্যানস্ক্যান, আমেরিকান সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, তুরস্কের রিডোম্যাক টার্কি, সিঙ্গাপুরের এমটি কমিউনিকেশন, নেদারল্যান্ডসের ইউভি স্ক্যান।
ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কোম্পানিটির ১২ কোটি শেয়ার রয়েছে। তারা নতুন করে আর ৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করার পরিকল্পনা করছে।
কোম্পানির একজন উর্ধতন কর্মকর্তা অর্থসূচককে বলেন, তাদের নতুন প্ল্যানটি হবে গ্রিন ফ্যাক্টরি তথা পরিবেশবান্ধব। পাশাপাশি এই প্ল্যান্ট পরিবেশবান্ধব নির্মাণে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাদের কারখনায় পরিবেশবান্ধব নির্মাণ উপকরণ উৎপাদন করা হবে। এর মধ্যে কিছু উপকরণ বাংলাদেশে তারাই প্রথম নিয়ে আসবেন। এরমধ্যে রয়েছে-অটোক্লেভ প্যানেলস। আগুনে না পুড়িয়ে তাপ-ও চাপের মাধ্যমে মেশিনে এই প্যানেল উৎপাদন করা হবে। এই প্যানেল ব্যবহারে নির্মাণ ব্যয় এবং সময়ও সাশ্রয় হবে। যেমন- কেউ চাইলে তারা ২০ ফুট বাই ২০ ফুট আকারের প্যানেল তৈরি করে দেবেন। সংশ্লিষ্ট ক্রেতা এটি নিয়ে শুধু সংস্থাপন করে দেবেন।
শিগগিরই কোম্পানিটি আইপিওর প্রক্রিয়া শুরু করবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনসাপেক্ষে আইপিওর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।