শেয়ারবাজারের বাইব্যাক আইন কার্যকর করার দাবি বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘদিনের। বাইব্যাক আইনের খসড়াও প্রণয়ন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কিন্তু নানা কারণে সেই আইন কার্যকরা করা যায়নি। অবশেষে কার্যকর হতে যাচ্ছে শেয়ারবাজারে বাইব্যাক আইন।
জানা গেছে, সম্প্রতি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এই বিষয়ে ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন। বৈঠকে বাইব্যাক আইন কার্যকর করার বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। ফলে শিগগিরই কার্যকর হচ্ছে শেয়ারবাজারে বইব্যাক আইন।
এই বিষয়ে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে বাইব্যাক পদ্ধতির প্রচলন আছে। তবে দেশের বিদ্যমান কোম্পানি আইনে তা অনুপস্থিত। এই আইনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দর কমে গেলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে সেই শেয়ার ক্রয় করতে হবে। এটি কার্যকর হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
বিএসইসি’র এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে বলেন, বিএসইসি বাইব্যাক আইন চুড়ান্ত করার কাজ শুরু করেয়েছে। আমরা কোম্পানি আইনে শুধুমাত্র বাইব্যাক করার বিষয়টি সংযুক্ত করতে চাই। আর কখন ও কিভাবে বাইব্যাক করতে হবে, তা বিএসইসির আইনে ঠিক করা হবে।
এই আইন প্রণয়নের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বড় পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করেন বিনিয়োগকারীরা। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। এছাড়া কোন কোম্পানি মিথ্যা তথ্য দিয়ে শেয়ারবাজারে আসলে, পরবর্তীতে শেয়ারের দাম কমে গেলে সেই কোম্পানিকে শেয়ার কিনে নিতে হবে।
উল্লেখ্য, বাইব্যাক বা শেয়ার পুনঃক্রয় হচ্ছে একটি বিধান। যার আওতায় কোনো কোম্পানির শেয়ার মূল্য যদি অফার মূল্যের (প্রিমিয়ামসহ) নিচে নেমে যায় বা কমে যায় তবে ওই কোম্পানি কর্তৃক স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শেয়ার পুনঃক্রয় করতে বাধ্য থাকবে।