পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জুট স্পিনার্স কোম্পানির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ম্যানেজম্যান্টকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।জুট স্পিনার্স ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই কথা জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের মন্দাবস্থায় জুট স্পিনার্স কঠিন দুঃসময়ের ভিতর দিয়ে সময় পার করছে। যা পরিস্কারভাবে কোম্পানির ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা করার সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এই দুঃসময় দ্রুত কাটিয়ে উঠবে বলে নিরীক্ষককে জানিয়েছেন।
কোম্পানিটি ব্যবসায় বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও পুঁজিবাজারে শেয়ারটির দর অতিমূল্যায়িত হয়ে পরেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৪৬ টাকা ১৯ পয়সা লোকসান করা জুট স্পিনার্সের শেয়ার দর রয়েছে ৭৮ টাকা ২০ পয়সা। যে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদ রয়েছে ঋণাত্মক ৩০৩ টাকা ৫৬ পয়সা।
জুট স্পিনার্সের কারখানা ২০১৬ সালের জুন থেকে বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। এরমধ্যে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ স্থায়ী সম্পদ পূণ:মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ শামস-উজ জোহা কোম্পানির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য নিজের কাছ থেকে ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা প্রদান করেছেন। এর বিনিময়ে কোন সুদ নেন নি তবে কোম্পানি স্বচ্ছল হলে অর্থ ফেরত নেবেন তিনি।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের জুট স্পিনার্সে ২৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ঋণাত্মক রিজার্ভ রয়েছে।জুট স্পিনার্সের মোট শেয়ার সংখ্যা ১৭ লাখ । এর মধ্যে ৩৯ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩ দশমিক ২০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল