বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে একক আন্তর্জাতিক শিল্প প্রদর্শনী, যার আয়োজন করেছে দেশের শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এ প্রদর্শনীর সমাপনী দিন আজ (১২ আগস্ট)।
ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। একই ছাদের নিচে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত আন্তর্জাতিক মানের ৫০ হাজারের বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস এবং টেস্টিং ফ্যাসিলিটিজ। ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি (এটিএস) এক্সপো ২০২৩’ এর ভেন্যু রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা হল-১।
একই ছাদের নিচে দেশের একটি ব্রান্ডের এত পণ্য এবং সেবা পাওয়া যাচ্ছে, যা অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন মেলায় আসা ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা।
মো. শরীফুল আলম নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি এসেছেন হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখার জন্য। তার অভিব্যক্তি ছিল উচ্ছ্বাসে ভরা। তিনি বলেন, ওয়ালটন দেশের গর্ব। যে পণ্যগুলো একসময় বিলাসিতা ছিল, সেগুলো এখন প্রয়োজন, এসব পণ্যকে সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য করেছে ওয়ালটন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জয় সাহা মেলায় ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের স্টল ঘুরে দেখছিলেন। তিনি বলেন, ল্যাপটপ কিংবা স্মার্টফোন বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পণ্য। বিদেশি বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের এসব পণ্য মধ্যবিত্তদের নালাগের বাইরেই থাকে। তবে, ওয়ালটনের এক্সিবিশনে এসে দেখছি, সেরকম ফিচারের মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ অনেকটা সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।
দেশের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ওয়ালটন শুধু তাদের পণ্য তৈরী, বাজারজাতকরণ কিংবা রপ্তানিতেই সীমাবদ্ধ নেই। তাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস এবং টেস্টিং ফ্যাসিলিটিজ গ্রহণ করছে দেশের আরও শিল্প প্রতিষ্ঠান। এর ফলে সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের পণ্য তৈরীর ব্যয় এবং আমদানির সময় ও খরচ কমে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ না করেই শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য উৎপাদন করতে পারছে।
একই ছাদের নিচে একটিমাত্র প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত আন্তর্জাতিক মানের ৫০ হাজারেরও বেশি শিল্প উপকরণ ও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এ ধরনের মেলা বাংলাদেশে এই প্রথম। এটিএস এক্সপোতে টেস্টিং সলিউশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস ও প্রোডাক্ট—এই চার ক্যাটাগরিতে পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। মোট ২১টি স্টলে প্রদর্শন করা হচ্ছে ওয়ালটনের তৈরি আন্তর্জাতিক মানের ৫০ হাজারেরও বেশি পণ্য। এগুলোর অধিকাংশই প্রায় সকল প্রকার শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধাপে প্রধান কাঁচামাল ও কম্পোনেন্টস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মেলা উদ্বোধন করেন।