বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সপ্তাহ শেষে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন সাড়ে ৭৬ শতাংশ বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধনও। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসই তথ্য অনুযায়ী, গেল সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৬ হাজার ২১৪ পয়েন্টে।
প্রধান সূচক বাড়লেও ডিএসইর অপর দুই সূচক কমেছে। বাছাই করা ৩০ কোম্পানির সূচক ‘ডিএস ৩০’ ১০ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট হারিয়েছে। শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সূচক ‘ডিএসই এস’ কমেছে ১ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট।
সূচকের মিশ্রপ্রতিক্রিয়ায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে টাকার অংকে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। গেল সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে ২ হাজার ৮৯৩ কোটি ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৮৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এর আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৩৯ কোটি ১৭ লাখ ৫৯ হাজার ৭৩৩ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ২৫৪ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ১৫২ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৫৪৫ কোটি ৬৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬২ হাজার ৯১১ কোটি ৯৮ লাখ ৫৬ হাজার ১৫১ টাকায়।
সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজারে ৪০১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে ২৪৪টির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর কমেছে ৫৮টির, বিপরীতে ৭৬ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এছাড়াও ২৩ কোম্পানি গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়নি।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির ১৭৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে জেমিনি সি ফুড। পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বোচ্চ দরপতন হওয়া ইউনিলিভার কনজ্যুমারের শেয়ারদর কমেছে ৩৬ শতাংশ।