ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিনে লেনদেন পরিমাণ কমেছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর উত্থানের চেয়ে পতন ১ দশমিক ৯৩ গুন বেশি হয়েছে।
শেয়ারবাজার উত্থান হবে জানিয়ে গত মঙ্গলবারে রেগুলেটর (বিএসইসি) প্রধান বলেছিলেন, মার্চের শুরু থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে শেয়ারবাজার। আসবে সুখবর। সেই বলার প্রতিফলন প্রথম দুইদিন (বুধবার ও বুহস্পতিবার) না থাকলে পরের দুই দিন (রবিবার ও সোমবার) ঠিকই দেখা মিললো শেয়ারবাজারে। কিন্তু পরের দিন মঙ্গলবার লেনদেন কিছুটা ভাটায় পড়েছে। তবে বর্তমান তুলনায় এ ধরনের লেনদেন খারাপ না বলে জানান শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।
স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, মঙ্গলবার ডিএসইতে ৬৪৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭২৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৬২ দশমিক ৩১ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ১০ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক দশমিক ২৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৫ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৬১ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৫৭টি এবং কমেছে ১১০টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৮৩টির। এদিন ডিএসইতে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন ইস্টার্ন হাউজিং ৩৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে জেমিনি সী, জেনেক্স ইনফোসিস, সী পার্ল বিচ, এডিএন টেলিকম, বসুন্ধরা পেপার, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, রুপারী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ওরিয়ন ফার্মা এবং শাইনপুকুরের শেয়ার।
অপরদিকে, অপর শেয়ারবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ১৬ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস সোমবার ১৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৬৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৩৬টি, কমেছে ৪৭টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৮২টির।
এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৪৫ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে। সিএসই-৩০ সূচক ৯ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স সূচক ৯ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩ হাজার ৩৫৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে এবং ১১ হাজার ৫৭ দশমিক ৩০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ০০৪ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩২৪ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৬০ দশমিক ৫০ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে সী পার্ল বিচের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন সী পার্ল বিচ ৮ কোটি ২৬ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে এডিএন টেলিকম, লার্ফাজহোলসিম, আমান কর্টন, বসুন্ধরা পেপার, ইন্দো বাংলা ফার্মা, শাইনপুকুর, রুপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার।