এবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নেওয়া সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের কাছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব মো. গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বলেছে, পুঁজিবাজারে অবৈধভাবে কোনো কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠান যেন প্রবেশ করতে অথবা বের হতে না পারে। এজন্য বিএসইসিকে নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অসাধু কোনো সিন্ডিকেট যেন পুঁজিবাজারকে কারসাজির মাধ্যমে প্রভাবিত না করতে পারে, সেদিকেও বিশেষ নজরদারি রাখতে বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে যেসব কোম্পানি, স্টেকহোল্ডার বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে, তাদের পুঁজিবাজারে শেয়ার লেনদেনের ওপর নজর রাখা, সন্দেহজনক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ নজরদারির আওতায় আনা ও প্রয়োজনীয় আইনানুগ নেওয়া এবং পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পুঁজিবাজারকে আরও গতিশীল করতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি কার্যক্রম আরও জোরদার করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত ধারণা তুলে ধরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ আট কর্মদিবসের মধ্যে সাত কর্মদিবসে পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। এ সময়ে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। শেয়ারের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩১২ পয়েন্ট। সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির দাম কমায় আট কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীদের পুঁজি উধাও হয়েছে ১৮ হাজার ১৩৬ কোটি ১৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা।