আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নানা উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় দেশের পুঁজিবাজারে উত্থান প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন আশা জেগেছিল। কিন্তু একদিনের ব্যবধানে তাদের সেই আশায় গুড়ে বালি। বাজারে ফের বড় পতন দেখা দিয়েছে।
আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১২ ডিসেম্বর) লেনদেন চাঙ্গা প্রবণতায় শুরু হলেও কিছুক্ষণ পরই নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দেয়। যা লেনদেনের শেষ অবধি অব্যাহত থাকে। আজ প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকের বড় পতন হয়েছে। এদিন সূচকের সাথে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটেরও পতন হয়েছে। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৪.৩৮ পয়েন্ট বা ০.৯২ শতাংশ কমে ছয় হাজার ৯২০.৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৮.০৫ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৮.১০ পয়েন্ট বা ১.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৬৭.৪০ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৬০৪.০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে আজ এক হাজার ১৪৮ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১০৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৪৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার।
ডিএসইতে ৩৭৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে আজ। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৯টির বা ২৬.৩৩ শতাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। দর কমেছে ২৪২টির বা ৬৪.৩৬ শতাংশের এবং ৩৫টি বা ৯.৩১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৭৮.০৫ পয়েন্ট বা ০.৮৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২৮৪.৩২ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ১৯৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির দর। আজ সিএসইতে ৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।