গত ছয় বছরেও বোনাস শেয়ার থেকে বের হতে পারেনি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড। আগের ধারাবাহিকতায়ই ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্যও বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রতিবছরই মুনাফার শতভাগ রেখে দিচ্ছে কোম্পানিটি। তবে আগামি অর্থবছর থেকে মোট লভ্যাংশের মধ্যে অর্ধেকের বেশি বোনাস শেয়ার দেয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানিটিকে অতিরিক্ত কর গুণতে হবে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ি, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি কোনো অর্থবছরে নগদ লভ্যাংশের বেশি বোনাস শেয়ার দিতে পারবে না। অর্থাৎ নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ সর্বোচ্চ সমান সমান হতে পারবে। যদি কোনো কোম্পানি বোনাস শেয়ার বেশি দেয়, তাহলে ওই বোনাস শেয়ারের উপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে।
এএফসি এগ্রো ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এরপরে ৬ বার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। এর প্রতিবারই বোনাস শেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) উত্তোলিত অর্থ ব্যবহারের আগেই এএফসি এগ্রোর পর্ষদ বোনাস শেয়ার ঘোষণা দিয়ে যাত্রা শুরু করে। ২০১৩ সালের ব্যবসায় প্রথমবার ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করে। পরে ২০১৪ সালের জন্য ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ১৮ মাসের (জানুয়ারি ১৫-জুন ১৬) জন্য ২০ শতাংশ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ২০ শতাংশ ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করে। আর সর্বশেষ গত ২৮ নভেম্বর ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ব্যবসায় ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
এএফসি এগ্রোর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৩.২২ টাকা হিসেবে মোট ৩৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছে। এরমধ্য থেকে ১০ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা হিসাবে ১০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বা মুনাফার ৩১ শতাংশ দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। মুনাফার বাকি ২৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ৬৯ শতাংশ রিজার্ভে রাখা হবে।
১০৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এএফসি এগ্রোতে ৬৩ কোটি ৫১ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।
শেয়ারবার্তা / আনিস