সম্প্রতি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৮৫ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের ব্যবসায় লভ্যাংশ সংক্রান্ত সভা করেছে। এরমধ্যে ৮০ কোম্পানির পর্ষদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আর ৫টির পর্ষদ কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।
দেখা গেছে, সম্প্রতি ডিসেম্বর ক্লোজিং ব্যাংক, বীমা ও ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এখন পর্যন্ত (২১ জুন) কোম্পানিগুলোর পর্ষদ ৩ হাজার ২৪২ কোটি ২৭ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে ১৩৯ কোটি ২৫ লাখ ৮২ হাজার ২৮৮টি বোনাস শেয়ার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে জুন ক্লোজিং ১৪৪ কোম্পানির পর্ষদ ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় ৪ হাজার ৩৭৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। আর ৫৬ কোম্পানির পর্ষদ ৫৪ কোটি ২৮ লাখ বোনাস শেয়ার দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এরমধ্যে ৪৭ কোম্পানির পর্ষদ উভয় লভ্যাংশ ঘোষণা করে।
ডিসেম্বর ক্লোজিং ৮৫ কোম্পানির মধ্যে ৪৪টির পর্ষদ শুধুমাত্র নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এছাড়া ৭টির পর্ষদ শুধুমাত্র বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। আর ২৯ কোম্পানির পর্ষদ উভয় লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বাকি ৫টির পর্ষদ কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।
তবে এখনো ডিসেম্বর ক্লোজিং কিছু কোম্পানির লভ্যাংশ সংক্রান্ত সভা সম্পন্ন বাকি রয়েছে।
কোম্পানিগুলোর ঘোষিত লভ্যাংশসহ অন্যান্য আলোচ্য বিষয়সমূহ বার্ষিক সাধারন সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে প্রদান করা হবে।
এ বছর এখন পর্যন্ত ৭ কোম্পানির পর্ষদ শুধুমাত্র বোনাস শেয়ার ঘোষনা করেছে। তবে ন্যূনতম অর্ধেক নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা না করার কারনে ওইসব কোম্পানিগুলোকে বোনাস শেয়ারের উপর ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান করতে হবে।
এদিকে ২০২১ সালে এসে ডিসেম্বর ক্লোজিং কোম্পানির পাশাপাশি অন্যান্য সময়ের আরও ৭ কোম্পানির পর্ষদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন, পূর্বের ও মার্চ ক্লোজিং কোম্পানি রয়েছে। কোম্পানিগুলো থেকে ২২৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার নগদ ও ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৪০৫টি বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।
দেখা গেছে, মার্চ ক্লোজিং ম্যারিকো বাংলাদেশের পর্ষদ ২০২০-২১ অর্থবছরের ব্যবসায় লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এছাড়া রবি আজিয়াটা ও পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স অন্তর্বর্তীকালীন, আমান কটন ও ঢাকা ডাইং ২০১৯-২০ অর্থবছরের, লিবরা ইনফিউশনস ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ও ফার্স্ট ফাইন্যান্স ২০১৯ সালের ব্যবসায় লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।