বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মার্কেট মুভার বা টার্নওভার তালিকায় ছিল বেক্সিমকো, পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স, ওরিয়ন ফার্মা, ফরচুন সুজ, লু্ব-রেফ, ন্যাশনাল ফিড মিল, গ্রীনডেল্টা ইন্সুরেন্স, এনআরবিসি ব্যাংক, সোনার বাংলা ইন্সুরেন্স ও প্রগতি ইন্সুরেন্স।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেক্সিমকো, পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স, ফরচুন সুজ, ন্যাশনাল ফিড মিল, এনআরবিসি ব্যাংক ও সোনার বাংলা ইন্সুরেন্স আগের সপ্তাহেও মার্কেট মুভারের তালিকায় ছিল।
বিদায়ী সপ্তাহে মার্কেট মুভারে নতুন করে উঠে এসেছে ওরিয়ন ফার্মা, লু্ব-রেফ, প্রগতি ইন্সুরেন্স ও গ্রীনডেল্টা ইন্সুরেন্স। এই চারটি কোম্পানির মধ্যে ওরিয়ন ফার্মাকে এর আগে কখনো সখনো মার্কেট মুভারে দেখা গেছে। তবে লু্ব-রেফ, প্রগতি ইন্সুরেন্স ও গ্রীনডেল্টা ইন্সুরেন্স মার্কেট মুভারের তালিকায় নতুন করে উঠে এসেছে। সাম্প্রতিককালে কোম্পানিগুলোকে মার্কেট মুভারের তালিকায় দেখা যায়নি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বড় বিনিয়োগকারীরা শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। যে কারণে কোম্পানিগুলোর লেনদেনে বড় উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে এবং কোম্পানিগুলো মার্কেট মুভারের তালিকায় উঠে এসেছে। তারা বলছেন, বড় বিনিয়োগকারীদের সংশ্লিষ্টতার কারণে আগামী সপ্তাহেও কোম্পানিগুলোর লেনদেনে ও শেয়ার দরে হয়তো চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা যেতে পারে।
ওরিয়ন ফার্মা: গেল সপ্তাহে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮৭ কোটি ৪৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার। সাপ্তাহিক লেনদেনের তালিকায় কোম্পানিটির অবস্থান ছিলো তৃতীয়। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৫২ টাকা ৩০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৫৬ টাকা ৭০ পয়সা। সপ্তাহের ব্যবধানে দর বেড়েছে ৪ টাকা ৪০ পয়সা বা ৮.৪১ শতাংশ।
কোম্পানিটি এখনো চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২০) কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ২ টাকা ৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ১৪ পয়সা।
সর্বশেষ শেয়ার দর ৫৬ টাকা ৭০ পয়সা অনুযায়ী শেয়ারটির পিই রেশিও ১৩.৯৭।
লুব-রেফ: গেল সপ্তাহে লুব-রেফের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬৫ কোটি ৮৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকার। সাপ্তাহিক লেনদেনের তালিকায় এই কোম্পানির অবস্থান ছিলো পঞ্চম। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ৪৯ টাকা ২০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৫০ টাকা ৮০ পয়সা। দর বেড়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা বা ৩.২৫ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৭৯ পয়সা।
অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৮৯ পয়সা।
সর্বশেষ শেয়ার দর ৫০ টাকা ৮০ পয়সা অনুযায়ী শেয়ারটির পিই রেশিও ১৫.১৮।
গ্রিন ডেলটা ইন্সুরেন্স: গেল সপ্তাহে গ্রিন ডেলটা ইন্সুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪৮ কোটি ১৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকার। সাপ্তাহিক লেনদেনের তালিকায় এই কোম্পানির অবস্থান ছিলো সপ্তম। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ১০৮ টাকা ৪০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ১১৮ টাকা ৪০ পয়সা। দর বেড়েছে ১০ টাকা বা ৯.২২ শতাংশ।
কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ২৪.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ৭.৫০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৯৬ পয়সা।
সর্বশেষ শেয়ার দর ১০৮ টাকা ৪০ পয়সা অনুযায়ী শেয়ারটির পিই রেশিও ১৯.২৮।
প্রগতি ইন্সুরেন্স: গেল সপ্তাহে প্রগতি ইন্সুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩৩ কোটি ১৩ লাখ ২৩ হাজার টাকার। সাপ্তাহিক লেনদেনের তালিকায় এই কোম্পানির অবস্থান ছিলো দশম। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ১২২ টাকা ৭০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ১৩৫ টাকা ৭০ পয়সা। দর বেড়েছে ১০ টাকা বা ৯.২২ শতাংশ।
কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ০১ পয়সা।
সর্বশেষ শেয়ার দর ১২২ টাকা ৭০ পয়সা অনুযায়ী শেয়ারটির পিই রেশিও ২৩.৪৯।