পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদানে আশে পাশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সেরা অবস্থানে বাংলাদেশ। তবে প্রাইস আর্নিং রেশিওতে রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে। আর দুই ক্ষেত্রেই সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে ভারত। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিষয়টিকে ইতিবাঁচক হিসেবে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, বাংলাদেশে এই মহুর্তে প্রাইস আর্নিং রেশিও (পিইরেশিও) এবং লভ্যাংশ প্রদানে ভালো অবস্থানে রয়েছে। ফলে বিনিয়োগ করার একটি ভালো সময়। এই অবস্থা থাকলে বিদেশী বিনিয়োগকারী আকৃষ্ট হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (এপ্রিল-জুন,১৯) প্রতিবেদনে ছয়টি দেশের পুঁজিবাজারের লভ্যাংশের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এই চিত্রে থাকা দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, শ্রীলংকা,চায়না, থাইল্যান্ড,হংকং এবং ভারত।
এই প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, বাংলাদেশে লভ্যাংশ প্রদানের হার ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ, শ্রীলংকায় ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ,চায়নায় ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ,হংকংয়ে ২ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং ভারতে ১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
এদিকে প্রাইস আর্নিং রেশিও এর দিক দিয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে শ্রীলংকা। দেশটির পুঁজিবাজারের বর্তমান পিইরেশিও ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, হংকং ১১ দশমিক ২৪ শতাংশ , চায়না ১৩ দশমিক ৮১ শতাংশ, বাংলাদেশ ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, থাইল্যান্ড ১৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ভারত ২৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শাকিল রিজভী বলেন, এটি নিশ্চয়ই বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের জন্য একটি ভালো খবর। লভ্যাংশ প্রদানে যদি ভালো অবস্থানে থাকা যায়, তাহলে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারমূখী হবে।
এ বিষয়ে এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেডর প্রধান নির্বহী কর্মকর্তা মাহবুব এইচ মজুমদার বলেন, লভ্যাংশ প্রদানে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে এটি পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাঁচক দিক। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনয়োগ আসার একটি পথ তৈরি হবে বলে আমি মনে করি।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল ইসলাম