পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সায়হাম কটন মিলস ও সায়হাম টেক্সটাইল মিলসের চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে। গত ৩১ মার্চ ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে কোম্পানি দুটির পর্ষদ।
সায়হাম কটনের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৫ কোটি ২৯ লাখ ৩৫ হাজার ১৬১ টাকা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১ কোটি ৬৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪১৬ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ৩ কোটি ৬২ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪৫ টাকা বা ২১৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। চলতি হিসাব বছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১০ কোটি ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৯৯ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৮ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৯১৪ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানটির মুনাফা বেড়েছে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ৮৫ টাকা বা ২৮ শতাংশ। নয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫৬ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৬৫ পয়সা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটি সর্বশেষ ১৪ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ১১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৭ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
সায়হাম কটনের অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৪৮ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩০৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৪ কোটি ৮৭ লাখ ৭৫ হাজার। এর মধ্যে ৪২ দশমিক ৪০ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪৫ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
অন্যদিকে সায়হাম টেক্সটাইলের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৯১ লাখ ৬৬ হাজার ৬১ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ কোটি ১৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৪ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানটির মুনাফা বেড়েছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৯ হাজার ৫৭৭ টাকা বা ১৪৬ শতাংশ। অন্যদিকে নয় মাসে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৪১ হাজার ৩৯২ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬ কোটি ৩২ লাখ ৬৪ হাজার ৪১৫ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে ৪৯ লাখ ২৩ হাজার ২৩ টাকা বা ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। নয় মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭০ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৪০ পয়সা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল কোম্পানিটি সর্বশেষ ১৯ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ১৭ টাকা থেকে ২৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে।