প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে মার্কেট লিডার বা ভলিউম লিডারের তালিকায় ছিল বেক্সিমকো, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, লাফার্জহোলসিম, বেক্সিমকো ফার্মা, ন্যাশনাল ফিড মিল, রবি আজিয়াটা, প্রভাতী ইন্সুরেন্স, ম্যাকসন্স স্পিনিং, বিডি ফাইন্যান্স ও বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি লিমিটেড।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, রবি আজিয়াটা, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, লাফার্জহোলসিম, বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো ও বিডি ফাইন্যান্স মার্কেট লিডারের তালিকায় ঘুরেফিরে উঠে আসছে। তবে মার্কেট লিডারের তালিকায় বিদায়ী সপ্তাহে নতুন করে স্থান পেয়েছে ন্যাশনাল ফিড মিল, প্রভাতী ইন্সুরেন্স ও ম্যাকসন্স স্পিনিং লিমিটেড।
কোম্পানি তিনটির মধ্যে প্রভাতী ইন্সুরন্সে এর আগেও মার্কেট লিডারের তালিকায় দু’একবার উঠে এসেছিল। ন্যাশনাল ফিড মিল আগের সপ্তাহেও মার্কেট লিডারের তালিকায় অর্ন্তভূক্ত ছিল। আর ম্যাকসন্স স্পিনিং প্রথমবারের মতো মার্কেট লিডারের তালিকায় জায়গা নিয়েছে। এমনিতেই বস্ত্র খাতের কো্ম্পানিগুলো দীর্ঘদিন যাবত মার্কেট লিডারের বাইরেই থাকছে। দীর্ঘদিন পর বস্ত্র খাতের ম্যাকসন্স স্পিনিং মার্কেট লিডারে জায়গা করে নিল। গত দুই বছেরের মার্কেট লিডারে এটির প্রথম আবির্ভাব।
ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড: বিদায়ী সপ্তাহে ন্যাশনাল ফিডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৬৯ লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৭টি। যার বাজার মূল্য ছিল ১৬৩ কোটি ৩২ লাখ ২৭ হাজার টাকার বেশি। কোম্পানিটি ডিএসইর লেনদেনের মার্কেট লিডারের তালিকায় ৫ম স্থানে ছিল। আগের সপ্তাহেও এটি মার্কেট লিডারের তালিকায় ৪র্থ স্থানে ছিল। গেল সপ্তাহে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২৭.২০ শতাংশ।
চলতি হিসাববছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই’২০-ডিসেম্বর’২০) ন্যাশনাল ফিডের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৯ পয়সা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২১ পয়সা।
৩০ জুন, ২০২০ হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। এর মধ্যে ২ শতাংশ ক্যাশ ও ৮ শতাংশ বোনাস। ওই হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১৭ পয়সা। ৯ কোটি ২৪ লাখ ৩৭ হাজার শেয়ার ও ৯২ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির বর্তমান রিজার্ভ রয়েছে ১৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী এর মূল্য অনুপাত আয় (পিই রেশিও) ২৮.১৪।
প্রভাতী ইন্সুরেন্স লিমিটেড: বিদায়ী সপ্তাহে প্রভাতী ইন্সুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭১ লাখ ৩৬ হাজার ৪৬৬টি। যার বাজার মূল্য ছিল ১২২ কোটি ৩২ লাখ ৭ হাজার টাকার বেশি। কোম্পানি ডিএসইর মার্কেট লিডারের তালিকায় ৭ম স্থানে ছিল। গেল সপ্তাহে কোম্পানিটি দর কমেছে ৬.৬০ শতাংশ।
চলতি হিসাববছরের প্রথম ৩ মাসে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) প্রভাতী ইন্সুরেন্সের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৮ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১৭ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আলোচ্য হিসাবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৩ টাকা ১০ পয়সা।
২ কোটি ৯৭ লাখ ২ হাজার ৫০৫টি শেয়ার ও ২৯ কোটি ৭২ লাখ ৫১ হাজার টাকার পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির বর্তমান রিজার্ভ রয়েছে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও ২৯.৯০।
ম্যাকসন্স স্পিনিং লিমিটেড: বিদায়ী সপ্তাহে ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার ৮৩৫টি। যার বাজার মূল্য ছিল ১১৯ কোটি ১৪ লাখ ৮২ হাজার টাকার বেশি। কোম্পানি ডিএসইর মার্কেট লিডারের তালিকায় ৮ম স্থানে উঠে এসেছে। গেল সপ্তাহে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২৩.১৪ শতাংশ।
চলতি হিসাববছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই’২০-ডিসেম্বর’২০) ম্যকসন্স স্পিনিংয়ের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫১ পয়সা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ পয়সা।
২০২০ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ওই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩৭ পয়সা। ২৩ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৯টি শেয়ার এবং ২৩৮ কোটি ২৩ লাখ ২৬ হাজার টাকার পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির বর্তমান রিজার্ভ রয়েছে ১৯৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।
সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী এর মূল্য অনুপাত আয় (পিই রেশিও) ১৪.৬১।