বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, বাংলাদেশ যেন টিকার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে, ভারতের পক্ষ থেকে সেই সহযোগিতা করা হবে। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দিল্লি থেকে আগরতলা-আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারসহ বিভিন্ন দেশের ও কোম্পানি এবং টিকা প্রস্তুতের আসল ফর্মুলার মালিকদের সঙ্গে টিকার চুক্তিমূলক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সবাই মিলে টিকার প্রাপ্যতা ও সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে।
বাংলাদেশে করোনার টিকার কার্যক্রম যেন চলমান থাকে এর জন্য ভারত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘আমাদের কাছে যা আছে এর বেশি তো দেওয়া সম্ভব না। উৎপাদনের প্রাপ্যতার তুলনায় যত বেশি সম্ভব, বাংলাদেশকে টিকা প্রদানের নিশ্চয়তা আমরা দিয়েছি। আর আমাদের যা আছে তা বলতে পারব। যা নেই তা বলতে পারব না। ভারতের পত্রপত্রিকায়ও টিকার ঘাটতি নিয়ে সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে। ভারতের বড় বড় শহরেও টিকার ঘাটতি রয়েছে।’
ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার টিকার প্রাপ্যতা নিয়ে একটা সংকট রয়েছে। সরবরাহের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। চুক্তি অনুসারে ভারতের ৭ মিলিয়ন টিকা বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে। সহযোগিতার জন্য আরও ৩.৩ মিলিয়ন টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। ‘আমরা যতগুলো দেশকে করোনার টিকা দিয়েছি তার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিকা ভারতের কাছ থেকে গ্রহণ করেছে। ভারতের কাছ থেকে টিকা গ্রহণকারী সর্ববৃহৎ দেশ বাংলাদেশ।’
ভারতীয় হাইকমিশনার দোরাইস্বামী বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউটা অনেক বড়। ইন্ডিয়ার অবস্থাও দিন দিন কঠিন হচ্ছে। আমরা সবাই একত্রে কাজ করছি। দুই দেশ মিলে আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি। আমরা এর সমাধানে উভয় দেশ মিলেই সর্বাত্মক সহযোগিতার চেষ্টা করছি।’
ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের কাছে থেকে বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস করোনা ভাইরাসের টিকা আমদানি করছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে সরকারিভাবে বিতরণের জন্য তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার কথা রয়েছে। প্রথম দফায় গত ২৫ জানুয়ারি এই টিকার ৫০ লাখ ডোজ বাংলাদেশে এসেছে। দ্বিতীয় দফায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি এসেছে ২০ লাখ ডোজ টিকা। এরও আগে গত ২১ জানুয়ারি এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে ভারত থেকে উপহার হিসাবে পাঠানো ২০ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছায়।