1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
সাত বছরেও কৌশলগত বিনিয়োগকারী খুঁজে পায়নি সিএসই
সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৭ এএম

সাত বছরেও কৌশলগত বিনিয়োগকারী খুঁজে পায়নি সিএসই

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১

দেশের দ্বিতীয় স্টক এক্সচেঞ্জ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসইর) দীর্ঘদিন যাবত কৌশলগত বিনিয়োগকারী খুঁজছে। কিন্তু ব্যাটে বলে মিলছে না বলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে বারবার সময় বাড়িয়ে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এবারও সময় শেষ হয়েছে গত ৮ মার্চ। ফের একবছর সময়ের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তবে, এই বর্ধিত সময়ের মধ্যেও করোনার কারণে কৌশলগত বিনিয়োগকারী পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে সিএসই।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৩ সালে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের (ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথককরণ) পর থেকে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কৌশলগত বিনিয়োগকারী খোঁজা শুরু করে। ২০১৮ সালের শেষ দিকে ডিএসই কৌশলগত বিনিয়োগকারী পেলেও সিএসই দীর্ঘ দিন চেষ্টায় তা পায়নি। তবু থেমে নেই সিএসই। বছরের পর বছর বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীদের সিএসই কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু উভয় পক্ষের হিসাব মিলছে না বলে বিনিয়োগকারীও পাচ্ছে না সিএসই। করোনার কারণে গেলো এক বছর সিএসই আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। করোনার প্রভাব এখনো পুরোপুরি কাটেনি তাতে আরও এক বছর সময় পেলেও সিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী পাওয়া বড়ই চ্যালেঞ্জ।

সিএসইর একাধিক সদস্যদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, ডিএসই সেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে নেওয়ার পর সিএসই দুবাই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে আলোচনা করেও আশানুরূপ ফল পায়নি। এছাড়া, তুলনামূলক কম দরে ডিএসইর শেয়ার বিক্রি করায় সিএসই দর কষাকষিতে খুব বেশি দূর এগোতে পারছে না।

তারা আরও জানান, সিএসইর লেনদেনও ডিএসইর চেয়ে অনেক কম। তাই কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত দর পাওয়া যাবে না। তাছাড়া লেনদেন কম থাকায় কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণও করতে পারছে না সিএসই।

ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) সঙ্গে যোগাযোগ করছে সিএসই। করোনার আগেই এনইসি, হংকং, আবুধাবীর সঙ্গে কথা হয়েছিল। বিশেষ করে হংকংয়ের সঙ্গে অনেকটা কথা এগিয়ে গিয়েছিল। তার আগে এনএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক একাধিকবার বাংলাদেশে এসেছিলেন। কিন্তু কোনো অগ্রগতি হয়নি।

উল্লেখ্য, ডি-মিউচ্যুয়ালইজেশনের (ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথককরণ) শর্ত অনুযায়ী, স্টক এক্সচেঞ্জের ৬০ শতাংশ শেয়ার ব্লক রেখে বাকি ৪০ শতাংশ শেয়ার সদস্যদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। আর ৬০ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ২৫ শতাংশ কৌশলগত অংশীদার এবং বাকি ৩৫ শতাংশ পাবলিক এবং অন্যান্য ইনস্টিটিউশনের।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ