পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক খাতে লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হবে। এছাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এক্সপ্রোসার সংজ্ঞায়ও পরিবর্তন আনা হতে পারে। পুঁজিবাজারে এতো বড় সুখবরেও বিনিয়োগকারীদের স্বস্তি মেলেনি। আজ মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) লেনদেনের শুরুতে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান প্রবণতা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা স্থায়ী হয়নি। পতনে রূপ নিয়েছে উভয় পুঁজিবাজার।
এদিন লেনদেনের শুরুতে সূচকের বড় উত্থান হয়। তালিকাভুক্ত প্রায় সবকটি ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়ার পাশাপাশি অন্যান্য খাতেরও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু বেলা ১১টা ১০ মিনিটের পর হঠাৎ করেই শেয়ারবাজারে ছন্দপতন ঘটে। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান পতনের তালিকায় নাম লেখাতে থাকে। এতে নিচের দিকে নামতে থাকে সূচক। যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
অবশ্য অন্য খাতের একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও ব্যাংক কোম্পানিগুলো সে পথে হাঁটেনি। যদিও দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানোর পরও কিছু ব্যাংক শেষ পর্যন্ত পতনের তালিকায় চলে যায়। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় যেখানে মাত্র একটি ব্যাংকের শেয়ার দাম কমে, সেখানে দিনের লেনদেন শেষে ৫টি ব্যাংক পতনের তালিকায় চলে যায়। আর দাম বাড়ার তালিকায় শেষ পর্যন্ত স্থান হয়েছে ১৫টি ব্যাংকের। অথচ প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২১টি ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়ে।
এদিকে দাম কমার তুলনায় তিনগুণ বেশি ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়লেও সবখাত মিলে দরপতনের পাল্লায় ভারি হয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১০৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৩টির। আর ১১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৫১৬ পয়েন্টে নেমে গেছে।