পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়াটা কেমিক্যালস নিয়ে সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে ‘হিসাব মান লঙ্ঘন করে মুনাফা বেশী দেখিয়েছে ওয়াটা কেমিক্যালস’ এ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদটিতে সংখ্যাগত ত্রুটি ও অশংগতি আছে বলে মনে করছে ওয়াটা কেমিক্যাল কর্তৃপক্ষ। ফলে শেয়ারহোল্ডারসহ সংশ্লিষ্টদের বিভ্রান্তি দূর করার জন্য বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
ওয়াটা কেমিক্যাল কর্তৃপক্ষ জানান, শিররোনামীয় খবরের কোম্পানিটি ৮৩ কোটি ৭ হাজার ৬১৩ টাকা অবচয় কম ধায্য করেছে উল্লেখ করা হয়েছে যাহা সঠিক নয়। সংখ্যাটি ৮৩ লাখ সাত হাজার ৬১৩ টাকা সঠিক হবে। পত্রিকায় মুদ্রণ জনিত ত্রুটির কারণে ৮৩ লাখকে ভুল বশতঃ ৮৩ কোটি টাকা ছাপা হয়েছে।
শ্রম আইন, ২০০৬ অনুযাটা ডব্লিউপিপিএফ ফান্ড অনুমোদনযোগ্য খরচ। সে অনুযায়ী কোম্পানি হিসাবভুক্ত করা হয়েছে। ডব্লিউপিপিএফ এর অর্থ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমােদিত হতে পারে। যদি কর্তৃপক্ষ অ-অনুমোদন যোগ্য মর্মে নিৰেচনা করে সেক্ষেত্রে যে বছরে কর্তৃপক্ষ অ-অনুমােদিত বিবেচনা করবে, সেই বছর তাহা সমন্বয় তথা হিসাবভুক্ত হবে। যাহা (আন্তজাতিক হিসাব মান-১২ এৱ পেরা ৮০ (বি) অনুযায়ী হিসাবভুক্ত করার বিধান রয়েছে। ফলে কর-পরবর্তী মুনাফা এবং ইপিএস ১৯ পয়সা বেশী দেখানাে হয়নি। আন্তর্জাতিক হিসাব মান ১৬ এর অনুচ্ছেদ ৫৫ এ আরও বলা আছে ইউজেজ মেথড্র অব ডেব্রিসিয়েশনের ক্ষেত্রে অবচয় শূণ্য হতে পার। যদি সেখানে কোন উৎপাদন না হয়।
সে বিবেচনায় প্লান্ট ২০০৮ সাল হতে বন্ধ থাকায় অবচয় ধায্য করা হয়নি। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় প্লান্ট চালু কানের প্রচেষ্টা নিলেও বন্ড সুবিধার আওতায় শুল্ক ও করমুক্তভাবে পণ্য আমদানী হয় বিধায় প্রতিযাগিতামুলক মূল্যে উৎপাদন চালু করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া বিদ্যমান উৎপাদিত পণ্য সমূহের উৎপাদন ব্যয় সঠিকভাবে দেখানো সম্ভব নয়; যদি কিনা বন্ধ থাকা ইউনিটের অবচয় ধার্য্য করা হয়।
বর্তমানে কোম্পানী ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্লান্ট দুটি ‘হেল্ড ফর সেল’ করবে কিনা বা পুনরায় উৎপাদনের সুযোগ আছে কিনা তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে এবং দ্রুতই এ বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে সিন্ধান্ত গ্রহন করা হবে মর্মে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শেয়ারবার্তা / মিলন