1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
প্রিমিয়ার লিজিংয়ের এমডির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ এএম

প্রিমিয়ার লিজিংয়ের এমডির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল হামিদ মিয়া ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারে ভূয়া দলিলের মাধ্যমে ঋণ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি নিয়ম বর্হিভূতভাবে কমিশন নিয়েছেন। আবার এই অনিয়ম আড়াল করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন টিমকে টাকা দিয়ে ম্যানেজও করে আসছেন। এখন সেই দূর্নীতির হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিষ্ঠানটি থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে এসব জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি দিয়েছেন প্রিমিয়ার লিজিংয়ের উদ্যোক্তা এ এস এম শফিকুল ইসলাম মামুন।

চিঠিতে ওই উদ্যোক্তা বলেছেন, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের এমডি আব্দুল হামিদ মিয়া বিভিন্ন ভূয়া লোক সাজিয়ে ভূয়া দলিলের মাধ্যমে লোন দিয়ে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেন। এই দুর্নীতি অনিয়ম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন। একইসময়ে অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন।

আব্দুল হামিদ মিয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের জিএম শাহ আলমকে প্রতি মাসে টাকা দিয়ে সব অপকর্ম করে থাকেন বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি বিভিন্ন কোম্পানিকে লোন দিয়ে লোনের মাসিক কিস্তি না নিয়ে নগদ অনৈতিকভাবে টাকা নিয়ে থাকেন। অনেক ব্যক্তি বা কোম্পানির লোকদের শতকরা ২৫% কমিশন দিয়ে লোন নিতে হয়েছে। যেমন ওয়েস্টার্ন মেরিন, ডেল্টা মিলার্স, এসএ গ্রুপ, বিশ্বাস টেক্সটাইল, এ্যাডভান্স, মেজর আব্দুল মান্নান এবং অন্যান্য আরো অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, যেসকল কোম্পানি বা ব্যক্তিকে এই প্রক্রিয়ায় লোন দেওয়া হয়েছে, সঠিকভাবে তদন্ত করলে সেই দুর্নীতি বের হয়ে আসবে।

এমডি আব্দুল হামিদ মিয়া এখন বিদেশে পালানোর জন্য চেষ্টা করছেন বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। অথচ তার দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে কোম্পানির অবস্থা বর্তমানে খুবই খারাপ। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রতি তিন মাস পরপর পরিদর্শন টিম আসলে তাদেরকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলেন এমডি। তিনি অনেক সময় পরিদর্শন টিমকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর তার খুবই ঘনিষ্ট বন্ধু বলে হুমকিও দেন।

এই পরিস্থিতিতে প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেডের সকল আর্থিক অনিয়ম তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন ভুক্তভোগী।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ