পুঁজিবাজার উন্নয়নে ‘মার্কেট মেকারের’ ভূমিকায় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডকে (বিডিবিএল) কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) কার্যক্রমে নানান অস্বচ্ছতার গুঞ্জন উঠার পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আইসিবি যেসব সুযোগ-সুবিধা পায়, এখন রাষ্ট্রায়ত্ত বিডিবিএলও সেসব সুবিধা পাবে।
অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এ লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে এটিকে ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগ ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি এক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইসিবি যেখানে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবে সেখানে বিডিবিএল দায়িত্ব পালন করবে। মূলত এর পর থেকেই বিডিবিএলকে বিনিয়োগ ব্যাংকে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
বাজার স্থিতিশীলতায় বিডিবিএল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে, এমনটি আমরা দীর্ঘদিন ধরেই শুনছি। আইসিবির পাশাপাশি পুঁজিবাজারের সহায়তা দেয়ার জন্য এ রকম একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা খুবই ইতিবাচক।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের পর ২০১০ সালে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হন। পথে বসেন অনেকেই। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল হয়নি দেশের পুঁজিবাজার। শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় আইসিবিকে দফায় দফায় টাকা দিয়েছে সরকার। চলতি বছর আইসিবির অনুকূলে দুই হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার অনুমতি দেয়া হয়। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনা স্কিমের টাকা থেকে ৮৫৬ কোটি টাকা ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এসব টাকা যথাযথভাবে ব্যবহার না করার অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। আবার আইসিবির স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় এ প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন। এসব কারণে আইসিবির পাশাপাশি বিডিবিএল-কে পুঁজিবাজারে সক্রিয় করা হচ্ছে।
শেয়ারবার্তা / আনিস