পুঁজিবাজারে লিস্টেড কোম্পানির ডিভিডেন্ডের দিকে বিনিয়োগকারীদের অনেক বেশি প্রত্যাশা থাকে৷ উন্নত বিশ্বে ডিভিডেন্ডের চেয়ে কোম্পানি গ্রোথ এবং রিটার্ণের দিকে বেশি মনোযোগ দিয়ে থাকেন বিনিয়োগকারীরা। আমাদের দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টমেন্ট আমাদের দেশে এখনো সেভাবে গড়ে উঠেনি। রিটেইল ইনভেস্টররা সব-সময়ই ভালো ডিভিডেন্ড পেলেই সন্তুষ্ট থাকেন।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসি এবং ডিএসই’র লিষ্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত তালিকাভুক্ত কোম্পানির সচিব এবং শেয়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে “কমপ্লায়েন্স অব ডিভিডেন্ড ডিসবার্সমেন্ট” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএসইসি’র নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান এসব কথা বলেন৷
তিনি বলেন, বিএসইসি বিভিন্ন সময়ে ডিভিডেন্ড কম্প্লায়েন্স এবং অন্যান্য ইস্যুতে বিভিন্ন ডাইরেক্টিভ ইস্যু করেছেন। কোম্পানির ভালো গর্ভনেন্সের জন্য যে কাজগুলো করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিভিডেন্ডের সঠিক ডিস্ট্রিবিউশন এবং অন্যান্য বিষয়গুলোর দিকেও নজর দেয়া।
ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ইনচার্জ) এবং প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা আবদুল মতিন পাটওয়ারী বলেন, এটা নলেজ শেয়ারিং প্রোগ্রাম৷ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ডিভিডেন্ড কমপ্লায়েন্সের ব্যাপারে একটা ডাইরেক্টিভ দিয়েছেন। যে কোনো কর্ম প্রক্রিয়ায় যিনি আইনের প্রয়োগ করেন, ডিভিডেন্ড ডিসবার্স ক্যালকুলেশন করেন এবং কমপ্লায়েন্সের কাজগুলো করেন, অবশ্যই তিনি এই কাজের খুঁটিনাটি বিষয়সমূহ অন্যদের চেয়ে বেশি জানেন। আমাদের যদি কোন ইমপ্রুভমেন্টের প্রয়োজন হয় সে দিক নির্দেশনাও কিন্তু আমরা আপনাদের মাধ্যমে পেতে পারি।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই ট্রেনিং এর মাধ্যমে দুটো জিনিস অর্জন করা যেতে পারে, একটি হলো: সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন যে চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারনার প্রেক্ষাপটে এই ধরনের কমপ্লায়েন্স রিপোর্টের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন সেইটা সম্পর্কে জানা। আর এই কাজের ক্ষেত্রে সকলেই যদি কোনো কনসার্ন ইস্যু, ইমপ্রুভমেন্ট করেন তাহলে ভবিষ্যতে সকলের সমন্বিত সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া যাবে।
প্রশিক্ষন কর্মশালায় বিএসইসি’র উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মূল বক্তব্যে, ফরমুলেশন-এ ডিভিডেন্ড ডিসবার্সমেন্ট পলিসি অ্যান্ড পাবলিকেশন, টাইমলাইন ফর ডিভিডেন্ড পে-অফ, ম্যানার অ্যান্ড প্রসিডিউর অব ক্যাশ ডিভিডেন্ট পেমেন্ট, আনপেইড অর আনক্লেইমড অর আনসেটেল্ড ক্যাশ ডিভিডেন্ড আফটার ত্রি ইয়ার্স, ম্যানার অ্যান্ড প্রসিডিউরস অব স্টক ডিভিডেন্ড ডিসবার্সমেন্ট, কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট অ্যান্ড নট ফরফেইট এনি আনক্লেইমড ক্যাশ ডিভিডেন্ড অর স্টক ডিভিডেন্ড, রেসপনসিবিলিটি অব স্টক এক্সচেঞ্জেস, ডিপি অ্যান্ড সিডিবিএল ইত্যাদি বিষয়ের উপরে আলোকপাত করেন।
সবশেষে, অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিএসইসি’র উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ইনচার্জ) এবং প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা আবদুল মতিন পাটওয়ারী, এফসিএমএ।