বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, আমাদের দেশে অনেক ভালো আইন রয়েছে। আমরা যারা দায়িত্বে আছি তারা সবাই সেই আইনগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। বিনিয়োগকারীদের সকল স্বার্থরক্ষায় কাজ করছি আমরা।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ডু্বাইতে ‘স্কোপ অব প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যান্ড ভেনচার ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমাদের সলিড ফিন্যান্সিয়াল ফান্ড রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থান। আমাদের দেশের পাশেই ভারত, চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দায়িত্ব গ্রহণ করার আগে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। সেখানে আমি আট বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেছি। তখন আমি ছাত্রদের মধ্যে ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা হওয়ার প্রচুর আগ্রহ দেখেছি। তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদেরকে চাকরি দিতে চায়। এ ধরনের চিন্তাভাবনা একটি দেশের জন্য খুব ভালো। এর ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিজেদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করবে এবং এর মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জনসংখ্যা সুবিধা ভোগ করছে। যাদের গড় বয়স ২৭ বছরের কিছুটা বেশি। তারা দেশের অর্থনীতি প্রবৃ্দ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এদেশের অধিকাংশ মানুষ দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে থাকে। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের মানুষ শক্ত আর্থিক পদক্ষেপ উপভোগ করছে। আপনারা যদি অন্য কোন দেশের সাথে তুলনা করেন তাহলে দেখতে পারবেন আমাদের দেশ আমদানি, রফতানিসহ অন্যান্য ব্যবসায় এগিয়ে যাচ্ছে এবং একটা ভালো অবস্থানে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ খুবই ভালো। এদেশের রয়েছে ‘বিবি- রেটিং’। আমরা আশা করছি, এটি আরও উন্নতি লাভ করবে। সামগ্রিক আর্থিক খাতে উন্নত হবে বাংলাদেশের। এখনই বাংলাদেশে বিনিয়োগের সঠিক সময়। আপনারা যত ইচ্ছে তত বিনিয়োগ করতে পারেন এবং কোন অনুমোদন ছাড়াই ইচ্ছেমতো টাকা ফেরত নিয়ে চলে আসতে পারবেন। আমরা বাজারের উন্নতির জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। এর মধ্যে একটি হলো বাজারে সার্বিক ডিজিটালাইজেশন করা। ফলে আইটি সেক্টর অনেক এগিয়ে গেছে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের রয়েছে প্রচুর শ্রম শক্তি। শিক্ষার হার ২৬ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশের কাছাকাছি চলে আসছে। সুতরাং আমাদের রয়েছে শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত শ্রমশক্তি। আপনারা দেখেছেন আমরা বিভিন্ন ব্যবসায় ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ সরবরাহ করছি। তাই সকলকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান করছি। এর ফলে আমাদের দেশের রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো উন্নতি লাভ করবে। করোনার সময়ে বাংলাদেশের আইটি খাত ভিত্তিক অনেক ব্যবসায় গড়ে উঠেছে। তাছাড়াও এ সময় অনলাইন ব্যবসায় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমাদের দেশে চাল ডাল, নগদ, সহজসহ আরও অনেক কোম্পানি গড়ে উঠেছে। বর্তমানে এদের রয়েছে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি। সুতরাং বাংলাদেশে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।