মহামারির বছরে ৬৮০ কোটি ডলার লোকসান গুনেছে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবার। এটা নাকি আবার সুখবর। চলুন জেনে নেই কীভাবে? বছরের পুরোটা সময় জুড়েই লোকসান হয়েছে উবারের। চতুর্থ প্রান্তিক পর্যন্ত লোকসানের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে উবার।
অথচ ২০১৯ সালের পুরোটায় প্রতিষ্ঠানটির লোকসান হয়েছে ৮৫০ কোটি ডলার। ওই বছর উবার খরচ কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়। ২০২০ সালের শেষ তিন মাসে উবারের লোকসান হয়েছে ৯৬ কোটি ডলার। শেয়ারের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে ২৩ কোটি ডলার, অথচ ২০১৯ সালে শেয়ারে লোকসান বাবদ ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছিল, ১১০ কোটি ডলার।
উবারের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা নেসলস চাই বলেন, ২০২১ সালে মুনাফার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামছে প্রতিষ্ঠানটি। মহামারিতে রাইড ব্যবসায় ধস নামায় মুনাফা খুব বেশি হয়নি উবারের। গেল বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর উবারের আয় হয়েছে ৩০০ কোটি ডলার। যদিও এ আয় ২০১৯ সালের তুলনায় ১৬ শতাংশ কম।
তবে উবারের ব্যবসা উবার ইটস মহামারির সময় বেশ জমজমাট ছিল। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে উবার ইটসের আয় হয়েছে ১৪০ কোটি ডলার, বছর ব্যবধানে আয় বেড়েছে ২২৪ শতাংশ। তবে রাইড শেয়ারে আয় গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৫২ শতাংশ, আয় হয়েছে ১৫০ কোটি ডলার।
ডেলিভারি পোর্টফোলিও শক্তিশালী করতে কয়েক মাসে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে উবার। গেল সপ্তাহে অ্যালকোহল ডেলিভারি স্টার্ট আপ ড্রিজলি চালু করেছে উবার। তবে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি ফ্লাইং ট্যাক্সি ডিসেম্বরে বন্ধ করে দিয়েছে উবার। মহামারির সময় খরচ কমাতে ২৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে উবার। বিশ্বজুড়ে চলা মহামারির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কোম্পানিটির ব্যবসার ওপর।
মোবাইল স্মার্টফোনের অ্যাপ-ভিত্তিক ট্যাক্সি সেবার নেটওয়ার্ক উবার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন পরিবহন নেটওয়ার্ক কোম্পানি উবারের কোন নিজস্ব ট্যাক্সি নেই। উবারের কিছু নির্ধারিত যোগ্যতা পূরণ করে ব্যক্তিগত গাড়ি আছে এমন যে কোনো ব্যক্তিই উবার টিমের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন।