ব্যাংক খাতের কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার থেকে একযুগ পর টাকা তুলতে আসা এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য চাঁদার অর্থসহ আবেদন বুধবার শুরু হবে। একটি বেনিফিশিয়ারি অ্যাকাউন্ট (বিও) থেকে সর্বোচ্চ এক লট (৫০০) শেয়ারের জন্য আবেদন করা যাবে। প্রতি শেয়ারের দাম ১০ টাকা ধরে মোট খরচ হবে পাঁচ হাজার টাকা।
মোট শেয়ারের চেয়ে বেশি আবেদন জমা হলে লটারির মাধ্যমে শেয়ার বণ্টনের ব্যবস্থা হবে। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি গত ১৮ নভেম্বর এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংককে আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয়।
আইপিওর মাধ্যমে তোলা অর্থ সরকারি সিকিউরটিজ ক্রয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও আইপিও খাতে ব্যয় করবে ব্যাংকটি।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ২০১৫ সালে ৫৬ কোটি টাকা, ২০১৬ সালে ৮৭ কোটি টাকা, ২০১৭ সালে ৯৩ কোটি টাকা, ২০১৮ সালে ৯ কোটি টাকা এবং ২০১৯ সালে ১১৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৪ টাকা ৪০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি মুনাফা ২ টাকা ২ পয়সা।
২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য ১৩ টাকা ৮৬ পয়সা।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল কাজ শুরু করে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক আইপিওর ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড এবং এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড।
দীর্ঘ ১২ বছর পর বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) নিয়ে আসছে কোনো ব্যাংক।