ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভবনের ভেতরে আরও লোকজন আটকে পড়েছে বলে জানানো হয়েছে।
পুনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত মঞ্জরি নামের একটি নির্মাণাধীন ভবনে এ আগুনের সূত্রপাত। যেখানে টিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে সেখান থেকে এর দূরত্ব খুব বেশি নয়। ভবন থেকে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, ইনস্টিটিউটের ১ নম্বর টার্মিনালের গেটের পাশে নির্মাণাধীন একটি টিকা উৎপাদন প্ল্যান্টে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। সেখানে উৎপাদন শুরু না হলেও প্রস্তুতি চলছিল।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কারও কারও ধারণা, নির্মাণ কাজের সময়ই কোনোভাবে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।
একটি সূত্রের বরাতে ভারতের এনডিটিভি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, আগুন নেভাতে সেখানে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে এ কথা জানানো হয়। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম। প্রতিষ্ঠানটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকা ‘কোভিশিল্ড’ নামে উৎপাদন করছে।
সেরাম ইনস্টিউটের সিইও আদর পূনাওয়ালা বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনে এ অগ্নিকাণ্ডের কোনো প্রভাব পড়বে না।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যলয় ও ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার তত্ত্বাবধানে করোনার টিকা কোভিশিল্ড তৈরি করছে সেরাম। ভারতে বিপুল পরিমাণে কোভিশিল্ড টিকা সরবরাহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সেরাম ইনস্টিউটের কাছ থেকেই ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনেছে। যার প্রথম চালান ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে পৌঁছানোর কথা।