প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) বিজয়ীরা দূর্বল মুনাফার রবি আজিয়াটার শেয়ার চড়া দরে বিক্রি করে বেরিয়ে গেছে। এখন শেয়ারটি টানা পতনের মধ্যে রয়েছে।
দূর্বল ব্যবসা নিয়েও লেনদেনের প্রথমদিন থেকে টানা দর বৃদ্ধি পাচ্ছিল রবি আজিয়াটার শেয়ার। এই দর বৃদ্ধিতে অপর মোবাইল অপারেটর কোম্পানি জিপির সঙ্গে তুলনা, অনেক ভালো হবে, ফিক্সড ডিপোজিট করবে ইত্যাদি প্রচারণার মাধ্যমে আইপিও বিজয়ীরা সাধারন বিনিয়োগকারীদেরকে আকৃষ্ট করে। তবে স্বার্থ হাসিলের মাধ্যমে আইপিও বিজয়ীদের কেটে পড়ায়, শেয়ারটি এখন নিম্নমূখী।
লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ থাকা রবির ১০ টাকার শেয়ারটি নানা প্রচারণার মাধ্যমে ১৪ জানুয়ারি বেড়ে হয় ৭০.১০ টাকা। অর্থাৎ ২২ দিনের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছিল ৬০.১০ টাকা বা ৬০১ শতাংশ।
তবে রবির ওই উত্থানে রবিবার ছেদ পড়ে। ওইদিন থেকে টানা ৩দিন পতন হল শেয়ারটির। এরমাধ্যমে ৭০.১০ টাকার শেয়ারটি মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে ৫৭.৪০ টাকায় নেমে এসেছে। অর্থাৎ ৩দিন শেয়ারটির দর পতন হয়েছে ১২.৭০ টাকা বা ১৮.১২ শতাংশ।
পতনের প্রথম দিন (১৭ জানুয়ারি) রবি আজিয়াটার শেয়ার দর কমে ৫.৬০ টাকা বা ৭.৯৯ শতাংশ। এর মাধ্যমে আগের দিনের ৭০.১০ টাকার শেয়ারটি ৬৪.৫০ টাকায় নেমে আসে। যে শেয়ারটি সোমবার আরও কমে ৫৮.৫০ টাকায় নেমে আসে। ওইদিন শেয়ারটির দর কমে ৬ টাকা বা ৯.৩০ শতাংশ। আর ৩য় দিন শেয়ারটির দর কমেছে ১.১০ টাকা বা ১.৮৮ শতাংশ।
এই টানা পতনের মধ্যে ররির শেয়ারে ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি আজও শেয়ারটিতে ক্রেতা শূন্য হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, ইতিহাসের সর্বনিম্ন শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) নিয়ে শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যু করা রবি আজিয়াটার পরিশোধিত মূলধন ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
এই কোম্পানিটি আইপিওতে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যু করেছে। এরমধ্যে কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ম বর্হিভূতভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি। যেগুলো ২ বছরের জন্য লক-ইন রয়েছে।
এরপরেও এখন শেয়ারবাজারে রবির ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ৪২ হাজার ৪০০টি শেয়ার লেনদেনযোগ্য রয়েছে।