নতুন বছরের চতুর্থ কার্যদিবসেও লেনদেন শুরুর অল্প সময়ের মধ্যে দর বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হওয়া ৯ কার্যদিবসের প্রতিটি কার্যদিবসেই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করল। এর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়লো রবি।
দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে এর আগে কোনো কোম্পানি লেনদেন শুরুর প্রথম ৯ কার্যদিবস টানা দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করতে পারেনি। রবির আগে টানা দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করার রেকর্ড ছিল ওয়ালটনের। ওয়ালটনের শেয়ার দাম লেনদেন শুরুর প্রথম ৮ কার্যদিবস দর বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।
গতকাল মঙ্গলবারই ওয়ালটনের রেকর্ডে ভাগ বসায় রবি। বুধবার ওয়ালটনকে পেছনে ফেলে টানা দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করার রেকর্ড এককভাবে দখলে নিল এই মোবাইল অপারেটর কোম্পানিটি।
এদিন লেনদেনের শুরুতে ৪২.৪০ টাকা করে কোম্পানিটির ২৩ হাজার ৮৭০টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। তবে এ দামে বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর কয়েক দফা দাম বেড়ে ৪৩.৩০ টাকা করে ১ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার ৭১১টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এর মাধ্যমে দিনের দর বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে রবি।
উল্লেখ্য, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে অনুমোদন নিয়ে রবি আজিয়াটার আইপিওতে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ১৭ নভেম্বর। যা চলে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং আইপিও খরচের জন্য রবিকে অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই টাকা তোলার জন্য কোম্পানিটি ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি সাধারণ শেয়ার আইপিওতে ইস্যু করে। এর মধ্যে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ইস্যু করা হয়েছে।