চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারের দেওয়া কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়েছেন ৭ হাজার ৬৫০ করদাতা। এতে সরকার কর পেয়েছে ৯৬২ কোটি টাকা। চলতি অর্থ বছরে রিটার্ন দাখিল করেছেন ২১ লাখ ৫১ হাজার ৩২৬ করদাতা। সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন ২ লাখ ৫৮ হাজার করদাতা।
সোমাবার (০৪ জানুয়ারি) এনবিআর এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অপ্রদর্শিত নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা রাখা টাকা, ফ্ল্যাট ও জমি বৈধ করেছেন ৭ হাজার ৪৪৫ করদাতা।
বিপরীতে তারা কর দিয়েছেন ৯৪০ কোটি টাকা। আর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা কালো টাকা সাদা করেছে ২০৫ জন। কর দিয়েছেন ২২ কোটি টাকা। অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে চলতি অর্থ বছরের বাজেটে রিটার্নে অপ্রদর্শিত জমি, ফ্ল্যাটের আকার অনুযায়ী নির্দিষ্ট হারে নগদ অর্থ, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ডের ওপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়। বলা হয়, যারা এই সুযোগ নেবেন তাদের আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলবে না কোনো কর্তৃপক্ষ।
গত বছর রিটার্ন দাখিল করেছেন ২২ লাখ করদাতা। সময় বাড়ানোর আবেদনকারীদের হিসাবে ধরা হলে চলতি বছরে ২৪ লাখ রিটার্ন জমা পড়বে বলে প্রত্যাশা এনবিআরের। প্রায় সাড়ে ২১ লাখ রিটার্নের বিপরীতে করদাতারা কর পরিশোধ করেছেন ৪ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর কালো টাকা সাদা করার এই সুযোগ দিচ্ছে এক বছরের জন্য। ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কালো টাকার উৎস না জানিয়েই সাদা করা যাবে। বিগত দশকগুলোতে বিভিন্ন সময়ে কালো টাকা সাদা করার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে, খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়নি।
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭-০৮ এবং ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নয় হাজার ৬৮২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা সাদা করা হয়েছিল। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছিল। আওয়ামী লীগের আগের দুই মেয়াদে যথাক্রমে এক হাজার ৮০৫ কোটি টাকা এবং চার হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা সাদা করা হয়েছিল।