1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
রাতারাতি ৬০ কোটি টাকা মূলধন হওয়া ইজেনারেশনে প্লেসমেন্ট শেয়ারই বেশি
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৯ এএম

রাতারাতি ৬০ কোটি টাকা মূলধন হওয়া ইজেনারেশনে প্লেসমেন্ট শেয়ারই বেশি

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০২১
egeneration-logo

শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : ইজেনারেশনকে শেয়ারবাজারে আনার লক্ষ্যে প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে রাতারাতি ৪২ লাখ টাকা থেকে ৬০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনে পরিণত করেছে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা। যেখানে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের থেকে প্লেসমেন্টধারীদের মালিকানাই বেশি। আর এখানেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরী করে দেওয়া হয়েছে।

২০০৯-১০ সালে প্রাইভেট প্লেসমেন্টে শেয়ার বিক্রি আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ধসের অন্যতম কারন বলেও মনে করা হয় ওই সময়ের অনিয়ন্ত্রিত প্লেসমেন্ট বাণিজ্যকে। এছাড়া ২০১০ সালের ধসের কারন অনুসন্ধানে ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বাধীন তদন্ত প্রতিবেদনেও প্লেসমেন্টের বিষয়টি উঠে আসে। ঠিক ৮ বছর পরে আবারও ২০১৯ সালে আলোচনায় উঠে আসে প্লেসমেন্ট। আর এই বিতর্কিত প্লেসমেন্টের মাধ্যমেই শেয়ারবাজারে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইজেনারেশন।

২০১৯ সালের শুরুর দিকে অনেক অযোগ্য কোম্পানি প্লেসমেন্টে শেয়ার বিক্রি করছে বলে আলোচনায় উঠে আসে। এছাড়া প্রিমিয়ামে প্লেসমেন্ট বিক্রি করে অনেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রিমিয়ামের অংশটুকু কিছু ব্যক্তি ও ইস্যুয়ার কোম্পানির উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা নিজেদের পকেটে নিচ্ছেন। এছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন ছাড়াও প্লেসমেন্ট বিক্রির মতো ঘটনা ঘটছে। আর এই অনৈতিক বাণিজ্য চালিয়ে যেতে একটি গ্রুপ বিভিন্নভাবে বিনিয়োগকারীদেরকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠে।

তারপরেও ওই বিতর্কিত পথই বেছে নিয়েছে ইজেনারেশন। বর্তমানে কোম্পানিটির ৬০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের মধ্যে মাত্র ২৮ কোটি টাকার মালিকানা উদ্যোক্তা/পরিচালকদের। বাকি ৩২ কোটি টাকার বিতর্কিত প্লেসমেন্ট শেয়ার। এর মাধ্যমেই মূলত শেয়ারবাজার থেকে টাকা বাহিরে চলে যায়। আর এই কারনে উদ্যোক্তা/পরিচালকেরাও বেনামে প্লেসমেন্ট শেয়ার কিনে থাকে।

প্লেসমেন্ট নিয়ে ২০১৯ সালে আলোচনাকে পূর্ণতা দেয় ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভীর এক ফেসবুক স্ট্যাটাস। তিনি এক স্ট্যাটাসে প্লেসমেন্টের বর্তমান অবস্থা ও শেয়ারবাজারের ভবিষ্যত নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

ওইসময় শেয়ারবাজারে মন্দার প্রধান কারণ হিসেবে বেপরোয়া প্লেসমেন্ট বিক্রিকে দায়ী করে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তুলে ধরেন শাকিল রিজভী। তিনি মনে করেন, প্লেসমেন্টের জন্য প্রতিনিয়ত বাজার থেকে টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। একদিকে প্লেসমেন্টধারীরা কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর ২-৩ গুণ লাভে শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নিচ্ছে। অন্যদিকে তাদের এই লাভ দেখে অন্য অনেক বিনিয়োগকারী সেকেন্ডারি বাজার থেকে টাকা তুলে নিয়ে প্লেসমেন্ট শেয়ার কিনছে।

তিনি বলেন, চলমান প্লেসমেন্টে একটি চক্র কৌশলে প্রতিটি শেয়ারে ৫ থেকে ১০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা ১০ টাকার শেয়ার ১৫-২০ টাকায় বিক্রি করছে। কিন্তু তার কোন রেকর্ড নাই। আর এই রেকর্ডহীন প্রিমিয়ামের অর্থ কোম্পানিতে ঢুকছে না। এই ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল টাকা নিয়ে কেঁটে পড়ছে চক্রটি।

ইজেনারেশনের আর্থিক হিসাবও সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। কারন প্লেসমেন্টের মাধ্যমে কোম্পানিটির ৪২ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন রাতারাতি ৬০ কোটি টাকা হয়ে গেছে।

দেখা গেছে, ইজেনারেশনের ৬০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের ৯৯ শতাংশই এসেছে ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের ২৬ জুনের মধ্যে। অর্থাৎ শেয়ারবাজারে আসার লক্ষ্যে তড়িঘড়ি করে মাত্র ১৫ মাসেই ৪২ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিকে ৬০ কোটি টাকা করা হয়েছে। এরমধ্যে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল ২৭৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছে।

শেয়ারবার্তা/০১ জানুয়ারি, ২০২১/সাইফুল

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ