পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলসের সার্বিক তদারকির জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এছাড়া বিগত ২ অর্থবছরের আর্থিক অবস্থাসহ সার্বিক বিষয় নিরীক্ষার জন্য বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সম্প্রতি বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
বিএসইসির ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আলহাজ্ব টেক্সটাইল ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমেছে। এরপরে কোম্পানিটির কোন উন্নতি হয়নি। এছাড়া কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকেরা মাত্র ১২ ধমমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার ধারনের মাধ্যমে বিএসইসির সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনের নির্দেশনা ভঙ্গ করেছে। অথচ কোম্পানিটিতে ৮৭ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেও সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা গত ২ অর্থবছর ধরে কোন লভ্যাংশ পাচ্ছেন না। যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্ষতিকারক ও কমিশনের কাছে অপ্রত্যাশিত।
এরইমধ্যে একজন পরিচালক ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালে ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার উচ্চ দরে (১০০ টাকার উপরে) বিক্রি করেছে। যা ঘোষণা ছাড়াই বিক্রির মাধ্যমে সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরন বিধিমালা ভঙ্গ করা হয়েছে।
এসব অভিযোগ বিবেচনায় আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলসের চলমান দূরাবস্থা কাটিয়ে তোলার জন্য কমিশনের একজন নির্বাহী পরিচালক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একজন সিনিয়র অফিসার ও কমিশনের নিয়োগকৃত একজন স্বতন্ত্র পরিচালকের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। এ কমিটি আলহাজ্ব টেক্সটাইলের সার্বিক বিষয় তদারকি করবেন। এই কমিটিকে আলহাজ্ব টেক্সটাইলের ৩৭ ও ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) তদারকি করতে বলা হয়।
এছাড়া আলহাজ্ব টেক্সটাইলের সর্বশেষ ২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবসহ (২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০) কোম্পানির সার্বিক বিষয় নিরীক্ষার জন্য কমিশন বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ব্যয়ভার বহন করবে কোম্পানি। একইসঙ্গে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে নিরীক্ষকের চাহিদা অনুযায়ি সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। অন্যদিকে কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোম্পানির কোন সম্পদ বিক্রি, বন্ধকী, হস্তান্তর বা নিষ্পত্তি করা যাবে না বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া আলহাজ্ব টেক্সটাইলের বর্তমানে পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
অপরদিকে, দীর্ঘ ৯ বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে শাখা অফিস খোলার অনুমোদন পেল ঢাকা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের অধীন ব্রোকারেজ হাউজগুলো। এর ফলে দেশে এবং দেশের বাইরে শাখা অফিস খুলতে পারবে ব্রোকারেজ হাউজগুলো। পুঁজিবাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গতকাল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।